স্বাগতিকদের হয়ে ইতোমধ্যে ব্যাটিংয়ে ওপেন করেতে নেমেছেন অ্যালেক্স হেলস ও জনি বেয়ারস্টো।
ইংল্যান্ড একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন ওপেনার জেসন রয়।
এদিকে, বাঁচামরার ম্যাচে পাকিস্তান শিবিরে উদ্বেগ বয়ে এনেছে মোহাম্মদ আমিরের ইনজুরি। পিঠের সমস্যায় খেলতে পারছেন না। আমিরের জায়গায় ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে বাঁহাতি পেসার রুম্মান রাইসের। আগের ম্যাচে অভিষিক্ত ফাহিম আশরাফের পরিবর্তে একাদশে ফিরেছেন লেগস্পিনার শাদাব খান।
এই গ্রাউন্ডে ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদের সাফল্যে শাদাবকে বেছে নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। টিম কম্বিনেশনের কারণেই বাদ পড়লেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেকে আলো ছড়ানো ফাহিম আশরাফ। লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই উইকেট ও ব্যাট হাতে ১৫ রান (রানআউট) করে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেন তিনি।
গ্রুপ পর্বে শতভাগ জয় দিয়ে সেমিতে ওঠে ছন্দে থাকা ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, ভারতের কাছে হারের হতাশা ভুলে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাক-টু-ব্যাক ম্যাচ জিতে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করে সরফরাজ আহমেদের দল।
সেমি নির্ধারণী শেষ ম্যাচটিতে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৩৭ রানের লক্ষ্যে ১৬২ রানে ৭ উইকেট হারিয়েও শেষ হাসি হাসে পাকিস্তান। অষ্টম উইকেটে ৭৫ রানের জুটিতে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও মোহাম্মদ আমির।
তাইতো বলাই যায়, ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে অপরাজেয় ইংল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান। গ্রুপপর্বে বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচেই দুর্দান্ত জয় পেলেও নকআউট পর্বে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে।
নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে তিনবার (২০০০, ২০০৪, ২০০৯) চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেও ফাইনালে যাওয়া হয়নি পাকিস্তানের। তাই সুযোগটি নিশ্চয়ই হাতছাড়া করতে চাইবে না তারা। অন্যদিকে, ঘরের মাটিতেই দু’বার (২০০০, ২০১৩) ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হয় ইংল্যান্ডের। এবার মাঠের খেলায় ফেভারিট হিসেবেই রুট-মরগানদের আক্ষেপ ঘোঁচানোর মিশন।
ইংল্যান্ড একাদশ: অ্যালেক্স হেলস, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), মঈন আলী, আদিল রশিদ, লিয়াম প্লাঙ্কেট, মার্ক উড, জেক বল।
পাকিস্তান একাদশ: আজহার আলী, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), ইমাদ ওয়াসিম, রুম্মান রাইস, শাদাব খান, হাসান আলী, জুনায়েদ খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ১৪ জুন, ২০১৭
এমএমএস