কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এই সেমিফাইনালের লড়াইয়ে এতটুকু চাপ নিতে চাইছেন না লাল-সবুজের দলপতি মাশরাফি। বরং ম্যাচটিকে সেমিফাইনাল হিসেবে না দেখে অন্য আট-দশটা ম্যাচের মতই নিতে চাইছেন ম্যাশ।
‘এই ধরণের টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলতে পেরে ছেলেরা খুবই রোমাঞ্চিত। এখানে আসার আগে আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করেছিলাম। এখন আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি। আমার কাছে মনে হয় এটাকে যদি সেমিফাইনাল হিসেবে না নিয়ে অন্য আট দশটা ম্যাচ হিসেবে খেলতে পারি সেটাই আমাদের জন্য ভাল। ’
বুধবার (১৪ জুন) এজবাস্টন ওভালে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সেমিফাইনাল নিয়ে এমন নির্লিপ্ত প্রতিক্রিয়া জানান মাশরাফি।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই মাঠে এবং মাঠের বাইরে বাড়তি উত্তেজনা। সর্বত্রই কেমন এক ত্রাহি ত্রাহি ভাব। বাংলাদেশ পারবে তো? তবে এই চিন্তাটি বাংলাদেশের চাইতে ভারত শিবিরেই বেশি। কারণটিও সংগত। বাংলাদেশের চাইতে সব বিবেচনায়ই দলটি এগিয়ে।
কিন্তু তারপরেও এই ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি কী কম আছে? আইসিসি ও এশিয়ার কাপের বিভিন্ন আসরে তাদের হারের নির্মম স্বাদ পাইয়ে দিয়েছে টাইগাররা। ২০০৭ বিশ্বকাপ ও ২০১২ এশিয়া কাপে টাইগারদের কাছে হারের পর ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ২০১৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও কোহলিদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে মাশরাফি ও তাঁর দল।
অতীতের জয়ের সেই ধারাবাহিকতায় এই ম্যাচটিতে জয়ের লক্ষ্যেই বাংলাদেশ মাঠে নামবেন বলে জানালেন।
‘আমরা প্রতিটি ম্যাচেই জয়ের জন্য খেলেছি। এটা আলাদা ম্যাচ। এই ম্যাচের হাইপ অনেক থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে ম্যাচটা ভাল খেলা ও জেতা। আমাদের প্রথম কাজটা হবে নির্ভার থেকে খেলা। ’
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এজবাস্টনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।
স্থানীয় সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ১৪ জুন ২০১৭
এইচএল/আরআই