তবে তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও কথা বলার ধরনে একটি বিষয় বেশ স্পষ্ট ছিল। আর সেটা হল, বড় কোন লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি এবং তার দল প্রস্তুত হচ্ছেন।
জয়ের জন্য তার চোখের আগ্রাসী ভাবটিও চোখ এড়িয়ে গেল না। যেনো কোন শিকারকে নিজের করে নিতে শিকারির সতর্ক দৃষ্টি।
আইসিসি’র কোন আসরের সেমিফাইনালের মঞ্চ এমনিতেই তার জন্য নতুন কিছু। পাশাপাশি আছে আরো অনন্য উচ্চতার হাতছানি। জিততে পারলেই ইতিহাস। বিশ্বের বড় বড় দলগুলোর সঙ্গে নতুন এক মহাসড়কে ওঠার হাতছানি। আর এমনই এক ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভারত।
দলটির বিপক্ষে আগে একগাদা সুখকর অভিজ্ঞতা আছে এই লাল-সবুজের দলনেতার। ২০০৭ বিশ্বকাপ, ২০১২ এশিয়া কাপ, ২০১৫ বিশ্বকাপ, ২০১৬ সালে ঘরের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং ২০১৬ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে লাল-সবুজের দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের স্মৃতিও তিনি ভোলেননি।
তবে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির এই মঞ্চে অতীতের স্মৃতিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না ম্যাশ। বরং ১৫ জুনের নতুন সূর্য্যের আলোয় শুরুটা নতুন করে করতে চাইছেন।
‘২০১৫ বিশ্বকাপের পর আমরা ভারতের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছি। ২৪ মাস আগের কথা, তাই ভুলে গিয়েছি। নতুন ম্যাচে শুরুটা কিভাবে করবো সেদিকেই আমরা আপাতত মনোযোগ দিচ্ছি। ’
বুধবারের (১৪ জুন) এই সংবাদ সম্মেলনে সংবাদকর্মীরা মাশরাফির কাছে জানতে চান, বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি সব চেয়ে বড় ম্যাচ কী না? জবাবে মাশষরাফি বলেন, উত্তরটি আমি ২০১৫ সাল থেকে দিয়ে আসছি। সেরা আটের সেমি ফাইনালে খেলছি, ম্যাচকে ঘিরে ইতোমধ্যেই বড় হাইপ তৈরি হয়েছে। আপনারা বলতে পারেন, কিন্তু আমি নিশ্চত নই।
মাশরাফি না বলতে চাইলেও ক্রিকেটের ইতিহাস বলছে, এটাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসের সব চেয়ে বড় ম্যাচ। যাকে ঘিরে ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিশ্বের ক্রিকেট বোদ্ধাদের নানা জল্পনা কল্পনা। কে জিতবে বাংলাদেশ, নাকি ভারত? জবাব মিলবে ১৫ জুনের ম্যাচে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
এইচএল/জেডএম