ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

৩০ ওভার শেষে পাকিস্তান ১৬৬/১

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
৩০ ওভার শেষে পাকিস্তান ১৬৬/১ ছবি:সংগৃহীত

কার্ডিফে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের দেওয়া ২১২ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করছে পাকিস্তান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩০ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান । দলের হয়ে ব্যাটিংয়ে অপরাজিত আছেন আজহার আলী (৭২) ও বাবর আজম (২৭)।

পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিং জুটিতে এদিন ১১৮ রান তোলেন আজহার আলী ও ফখর জামান। তবে দারুণ খেলতে থাকা ফখর শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে সাতটি চার ও একটি ছক্কায় ৫৭ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন।

স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন এ বাঁহাতি তরুণ।

এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৯.৫ ওভার ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১১ রান করে ইংল্যান্ড । টস জিতে ইংলিশদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।  

ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন জো রুট। আর পাক বোলারদের মধ্যে হাসান আলী ১০ ওভারে ৩৫ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন।  

এর আগে শুরুতেই অভিষিক্ত রুম্মান রাইস অ্যালেক্স হেলসকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট তুলে নেন। পাঁচ ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৩৪ রানের মাথায় ১৩ রানে থাকা হেলসের বিদায় ঘটে। দলীয় ৮০ রানের সময় দ্বিতীয় ওপেনারকে হারায় ইংলিশরা। চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম ম্যাচে সুযোগ পাওয়া জনি বেয়ারস্টোকে ৪৩ রানে থামান স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। হাসান আলীর ক্যাচে পরিণত হন তিনি।  

২৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ভালো খেলতে থাকা জো রুটকে ফেরান লেগস্পিনার শাহদাব খান। ৪৬ রান করে তিনি উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদের ক্যাচে প্যাভিলিওনে যান। দলীয় ১৪১ রানের মাথায় উইকেট বিলিয়ে দেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান। ৩৩ রানে থাকা দলনেতাকে বিদায় করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন হাসান আলী। এদিন তৃতীয় ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ারের ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করনে অধিনায়ক মরগান।

উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি জুনায়েদ খান। ব্যাক্তিগত ৪ রানে নিজের দ্বিতীয় শিকারে এ হার্ডহিটারকে ফেরান বাঁহাতি পেসার জুনায়েদ। এ সময় ইংলিশরা ১৪৮ রান করে। ৩৯ ওভারে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে মঈন আলীকে ফেরান জুনায়েদ। ১১ রানে থাকা এ বাঁহাতিকে দারুণ এক ক্যাচে প্যাভিলিওনমূখী করেন ফখর জামান। ৪৪তম ওভারে দলীয় ১৮১ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন আদিল রশিদ।

৩৪ রান করে হাসান আলীর তৃতীয় শিকার হন বেন স্টোকস। আর রুম্মানকে দ্বিতীয় উইকেট উপহার দেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। ইনিংসের শেষ বলের আগের বলে রান আউট হন মার্ক উড।

এদিন ইংল্যান্ড একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন ওপেনার জেসন রয়। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই (১, ১৩, ৪) রান খরায় ভোগেন তিনি। রয়ের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো।

এদিকে, বাঁচামরার ম্যাচে পাকিস্তান শিবিরে উদ্বেগ বয়ে এনেছে মোহাম্মদ আমিরের ইনজুরি। পিঠের সমস্যায় খেলতে পারছেন না। আমিরের জায়গায় ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে বাঁহাতি পেসার রুম্মান রাইসের। আগের ম্যাচে অভিষিক্ত ফাহিম আশরাফের পরিবর্তে একাদশে ফিরেছেন লেগস্পিনার শাদাব খান।

এই গ্রাউন্ডে ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদের সাফল্যে শাদাবকে বেছে নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। টিম কম্বিনেশনের কারণেই বাদ পড়লেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেকে আলো ছড়ানো ফাহিম আশরাফ। লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই উইকেট ও ব্যাট হাতে ১৫ রান (রানআউট) করে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেন তিনি।

গ্রুপ পর্বে শতভাগ জয় দিয়ে সেমিতে ওঠে ছন্দে থাকা ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, ভারতের কাছে হারের হতাশা ভুলে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাক-টু-ব্যাক ম্যাচ জিতে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করে সরফরাজ আহমেদের দল।

সেমি নির্ধারণী শেষ ম্যাচটিতে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৩৭ রানের লক্ষ্যে ১৬২ রানে ৭ উইকেট হারিয়েও শেষ হাসি হাসে পাকিস্তান। অষ্টম উইকেটে ৭৫ রানের জুটিতে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও মোহাম্মদ আমির।

তাইতো বলাই যায়, ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে অপরাজেয় ইংল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান। গ্রুপপর্বে বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচেই দুর্দান্ত জয় পেলেও নকআউট পর্বে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে।

নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে তিনবার (২০০০, ২০০৪, ২০০৯) চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেও ফাইনালে যাওয়া হয়নি পাকিস্তানের। তাই সুযোগটি নিশ্চয়ই হাতছাড়া করতে চাইবে না তারা। অন্যদিকে, ঘরের মাটিতেই দু’বার (২০০০, ২০১৩) ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হয় ইংল্যান্ডের। এবার মাঠের খেলায় ফেভারিট হিসেবেই রুট-মরগানদের আক্ষেপ ঘোঁচানোর মিশন।

ইংল্যান্ড একাদশ: অ্যালেক্স হেলস, জনি বেয়ারস্টো, জো ‍রুট, ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), মঈন আলী, আদিল রশিদ, লিয়াম প্লাঙ্কেট, মার্ক উড, জেক বল।

পাকিস্তান একাদশ: আজহার আলী, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), ইমাদ ওয়াসিম, রুম্মান রাইস, শাদাব খান, হাসান আলী, জুনায়েদ খান।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ১৪ জুন, ২০১৭
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।