বিশ্বসেরা আট দলের মধ্যে তলানির দল হয়ে শিরোপা জেতার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট ছন্দে ফিরেছে বলেই মনে করেন আফ্রিদি।
পাকিস্তানের সাবেক দলপতি জানান, ‘এই জয় পাকিস্তানের জন্য বড় অর্জন।
ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে স্রেফ উড়িয়ে দেয় টিম পাকিস্তান। ১৮০ রানের বিশাল জয়ে উড়ন্ত কোহলিদের মাটিতে নামিয়ে আনে সরফরাজ আহমেদের দল। ৩৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫৮-তে গুটিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস। বৈশ্বিক ইভেন্টের ফাইনালে ১৮০ রানের জয় পাকিস্তানের জন্য অভূতপূর্ব অর্জন।
১৯৯২ বিশ্বকাপ ও ২০০৯ টি-২০ ওয়ার্ল্ডকাপের পর এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের উৎসব উদযাপনে মাতে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের সমর্থকদের জন্য এমন স্মরণীয় ইভেন্ট জিততে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়ে আফ্রিদি জানান, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের স্ট্রাকচার সঠিক পথে এগুচ্ছে ততক্ষণ ভালো কিছু হবে না। ঘরোয়া ক্রিকেটের স্ট্রাকচারের সঙ্গে উইকেট নিয়ে ভাবতে হবে। আম্পায়ারিং লেভেল আরও উন্নত করতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটকে নিয়ে সত্যিই আরও বেশি কাজ করা দরকার। ’
এর আগে আফ্রিদি জোর দিয়েই বলছেন, পাকিস্তান ক্রিকেট স্বরূপে ফিরেছে, ‘১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ের পর আমাদের নতুন প্রজন্মের ম্যাচ উইনাররা এই জয়টি (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) পাইয়ে দিয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে পাকিস্তান ক্রিকেট আগের অবস্থানে ফিরেছে এবং আসছে বছরগুলোতে এই দলটিকে কিছু অবিশ্বাস্য উচ্চতায় দেখছি, বিশেষ করে যদি তারা এই টুর্নামেন্টে যেরকম আবেগ ও প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে তা অব্যাহত রাখতে পারে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ২২ জুন, ২০১৭
এমআরপি