ক্রিকেটের ভাষায় এই আউটের নাম দেওয়া আছে ‘obstructing the field’। মূলত ফিল্ডিংয়ে প্রতিরোধ তৈরি করা কিংবা বাধা দেওয়ার কারণে আম্পায়ার এই আউট দিতে পারেন।
টি-টোয়েন্টির ম্যাচে দেখা না গেলেও এর আগে ওয়ানডেতে ২০১৫ সালে রয়ের সতীর্থ বেন স্টোকস অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এমন আউট হয়েছিলেন। সে ম্যাচেও ছিলেন রয়।
সাজঘরে ফেরার আগে ইংলিশ এই ওপেনার উইকেটে ছিলেন ৭২ মিনিট। ৯টি বাউন্ডারি আর একটি ওভার বাউন্ডারিতে ইনিংস সাজিয়ে করেছিলেন সর্বোচ্চ ৬৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার ছুঁড়ে দেওয়া ১৭৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ১৭১ রানের মাথায়।
রয়ের আউটটির ঘটনা ম্যাচের ১৬তম ওভারে। ক্রিস মরিসের করা সেই ওভারের প্রথম বলে স্ট্রাইকে ছিলেন অভিষিক্ত লিয়াম লিভিংস্টোন। মরিসের অফস্ট্যাম্পের বাইরে করা বলটিতে লিভিংস্টোন ডিফেন্স করলে তা চলে যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে। নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা জ্যাসন রয় রান নিতে উইকেট থেকে বেরিয়ে গেলেও লিভিংস্টোন রান নিতে আপত্তি জানান। নিজের প্রান্তে ফেরার উদ্দেশে উইকেটের বিপরীত দিক বেছে নেন রয়।
তাতেই বিপত্তি বাধে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে উইকেট ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে সেখান থেকে থ্রো করা বলটি রয়ের পায়ে আঘাত করে। স্বমস্বরে প্রোটিয়া ফিল্ডাররা আউটের আবেদন করেন। দুই আম্পায়ার মাঠে কিছুটা পরামর্শ করে থার্ড আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাতে থার্ড আম্পায়ার রয়কে ‘obstructing the field’ আউট ঘোষণা করেন।
ভিডিও:
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, ২৪ জুন ২০১৭
এমআরপি