এতে করে পাপনের অন্য দুই পেশার জন্য খুবই সামান্য সময় বরাদ্দ থাকছে। তাই বিসিবি’র সভাপতির পদের দায়িত্বে থাকাটা তার জন্য বাড়তি চাপ বলেই তিনি জানালেন।
তাই বলে তিনি বিসিবি’র সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন বা এই দায়িত্ব পালনে তিনি অপারগ সেকথা একবারও বলেননি। আবার ক্রীড়া পাগল এই মানুষটি এই কথাও বলেননি, তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি হতে চাইছেন।
‘ক্রিকেট বা খেলাধুলা এমন একটা জিনিস যেটা থেকে আমাদের দূরে সরে থাকা কঠিন। ক্রিকেট বোর্ডে যদি থাকতেই হয় পরিচালক হয়ে থাকা ভালো। সভাপতিত্ব করা এখন আমার জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কেননা এখানে পর্যাপ্ত সময় দিতে হয়। আমি মনে করি, যে পরিমান সময় আমাকে ক্রিকেটে দিতে হচ্ছে এটা মোটামুটি ফুলটাইম। এরপর কোনো সমস্যা হলে সেটাও দেখতে হচ্ছে। যেহেতু আমি সব প্লেয়ারের সঙ্গেই কম-বেশি জড়িত। চাপটা অনেক বেশি। তাছাড়া ভ্রমনও বেশি হয়ে যাচ্ছে। আইসিসি, এসিসি, চাকরি ও রাজনীতিতো আছেই। সব মিলিয়ে চাপ সামলানো কঠিন হয়ে গেছে। ’
রোববার (২ জুলাই) রাজধানীর বেক্সিমকোতে নিজ কার্যালয়ে তিনি একথা বলেন।
আজ হঠাৎ করেই একথা বলার কারণ হলো, এ বছরের অক্টোবরেই শেষ হতে যাচ্ছে নাজমুল হাসান পাপনের বাংলাদেশ ক্রিকেটের সভাপতির মেয়াদকাল। আর নির্বাচনও যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। তাই যদি তিনি কোনো কারণবশত আগের মতো বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত নাও হন, অন্য নির্বাচিত সভাপতির হাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বেশ ভালোভাবেই চলবে বলে বিশ্বাস তার।
‘আমি না থাকলে অন্য যেই আসুক খারাপ হবে না। আমাদের দল যে ছন্দে আছে তাতে আগামী ৮ বছর সমস্যা হওয়ার কথা না। কেননা কেউ এসেতো আর চাইবে না তার সময়টা খারাপ যাক। ’ যোগ করেন পাপন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের অক্টোবরে প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাজমুল হাসান পাপন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ২ জুলাই ২০১৭
এইচএল/এমআরপি