ভারতের উত্তরখণ্ডে অটোরিকশা চালিয়ে জীবনের চাকা ঘুরানোর চেষ্টা করছেন তিনি। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমন হৃদয়বিদারক খবর প্রকাশ হয়েছে।
২০০১ সালে বুমরাহ‘র বাবা জসবীর সিং বুমরাহ মারা গেলে তার পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার ছায়া। পিতৃহারা ছেলের বয়স তখন মাত্র ৭ বছর। পরিবার চালানোর উদ্দেশ্যে নিজেদের ফ্যাক্টরি বিক্রি করে বুমরাহ’র দাদা উদ্দাম সিং বুমরাহ তখন উত্তরখণ্ডে চলে যান এবং চারটি টেম্পো কিনেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে (জসপ্রিতের বাবা) মারা যাওয়ার পর ব্যবসা দেখাশুনা করার মতো কেউ ছিল না। আমারও বয়স বাড়ছিল। তাই ফ্যাক্টরি বিক্রি করে দিতে হয়। ’ কিন্তু সেটি লাভজনক না হলে একসময় নিজেই অটোরিকশা চালান শুরু করেন এবং এই কাজটি তিনি আজ অবধি করে আসছেন।
জসপ্রিত বুমরাহ‘র মা দলজিৎ একজন স্কুল-শিক্ষিকা। ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে বুমরাহ’র মায়ের রয়েছে অনেক অবদান। বর্তমানে বুমরাহ আছেন তার মাকে নিয়েই।
২০১৪ সালে আইপিএলের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস বুমরাহকে ১.২ কোটি রুপি দিয়ে কিনে নিলে বিশ্ব-ক্রিকেটের নজর পড়ে তার উপর। ২০১৬ সালে ভারতের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। নাতি কোটিপতি হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খোঁজ নেন না বৃদ্ধ দাদার।
যদিও দাদা নাতির খেলা দেখে চোখের পানি মুছেন আর অপেক্ষায় থাকেন, একদিন নাতির সঙ্গে দেখা করে বুকে জড়িয়ে ধরবেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ০৫ জুলাই, ২০১৭
এমএমএস