বিসিবিতে এসে বোর্ডের সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনের কাছে অভিযোগপত্র দিয়েছেন শহীদের স্ত্রী ফারজানা। জানিয়ে গেলেন দিন বদলের পালায় তার প্রতি শহীদের আচরণ কতটা রুঢ় হয়ে গেছে।
এর আগে অবশ্য দেশের দু-একটি গণমাধ্যমে শহীদের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেছেন ফারজানা। কিন্তু তার গণমাধ্যমের কাছে করা এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শহীদ।
তাই রোববার (৯ জুলাই) সকাল ১১টায় দুই সন্তানসহ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে যান ফারজানা। সিইও নিজামের কাছে লিখিত অভিযোগপত্রে ফারজানা উল্লেখ করেন, ‘পরিচিতি পাওয়ার পর থেকে শহীদ বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতেই থাকে। গত কয়েক মাস আগে আমার শাশুড়ির সঙ্গে ঢাকার একটি মেয়ের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়। কিছুদিন আগে জানতে পারি ওই মেয়ে গভবর্তী হয়ে পড়েছে। শহীদ মেয়েটিকে বাচ্চা নষ্ট করার কথা বলেছে। কিন্তু আমার শাশুড়ি বলেছেন ‘নষ্ট করার দরকার নেই। সে তো আমার নাতি/নাতনি হবে। ’
ফারজানার অভিযোগে আরও জানানো হয়, ‘শহীদ মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। গত ২৩ জুন, ঈদের তিন দিন আগে শহীদ তার মা-ভাইকে বলে আমাকে যেন বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। না যেতে চাইলে দোতলার বারান্দা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এখন আমি বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। ’ফারজানার অভিযোগপত্রে লেখা ছিল, ‘আমার নবজাতক কন্যা সন্তানকে শহীদ কোলে নেয়নি কিংবা স্পর্শ করেনি। একদিন আমার শাশুড়ি জোর করে আমার নবজাতক কন্যা সন্তানকে শহীদের কোলে দেবার চেষ্টা করে। শহীদ এতে ক্ষীপ্ত হয়ে আমার শাশুড়ির গালে থাপ্পর মারে। মেয়ের বয়স ১১ মাস হলেও সে একবারের জন্যও তাকে স্পর্শ করেনি। মেয়ের জন্য এক টাকাও খরচ করেনি সে। ’
শহীদের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ আগেই পাওয়া গিয়েছিল। বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় রোববার (০৯ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানান ফারজানা আক্তার। ২০১১ সালের ২৪ জুন মুন্সীগঞ্জের মেয়ে ফারজানার সঙ্গে পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয় নারায়ণগঞ্জের ছেলে মোহাম্মদ শহীদের। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। ফারজানা-শহীদ দম্পতির ছেলে আরাফের বয়স তিন বছর। আর মেয়ে আরোহির বয়স ১১ মাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ০৯ জুলাই ২০১৭
এইচএল/এমআরপি