ছবি: সংগৃহীত
দশ বছর পর চলতি বছরের মার্চে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের যে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল, তা শেষ পর্যায়ে এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্ডস কমিটি। ফলে দেশের হোম অব ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী এই ভেন্যুটি এখন ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত।
ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু করা হয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে আবার ব্যাট-বলের লড়াই জমে উঠবে মিরপুরের এই সবুজ গালিচায়।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগেই মাঠ প্রস্তুত করতে কঠিন পরিশ্রম করে চলেছেন শ্রমিকরা। আর তাদের পাশে নিয়ে নিজেকে ফ্রেমবন্দি করে রাখলেন জাতীয় দলের টেস্ট দলপতি মুশফিকুর রহিম। শুধু ছবি তোলাই নয়, খেটে খাওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করেন মুশফিক। পরবর্তীতে নারী শ্রমিকদের সঙ্গে তোলা একটি ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অফিশিয়াল পেজে পোস্ট করেন তিনি। মুশফিক ক্যাপশনে লেখেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের আগেই মাঠ প্রস্তুত করতে তারা দারুণ কাজ করে চলেছেন। ’৮ ইঞ্চি পুরু সিলেটি বালুর ওপর গত মে মাসে শেষ হয়েছে মাঠের ঘাস লাগানোর কাজ। এখন চলছে সবুজায়নের প্রক্রিয়া। তাই রুটিন মাফিক প্রতিদিনই ঘাস কাটা ও সার দেয়া হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না নিয়ম করে পানি দেয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও। যত ভারী বৃষ্টিই হোক না কেন, মাঠ শুকাতে সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা সময় লাগবে। আউটফিল্ড আগের চেয়ে বেশ দ্রুত হচ্ছে। পুরো মাঠের ৮ ইঞ্চি নিচে জুড়ে আছে ছিদ্রকায় পারপোরেটেড পাইপ যা কী না জিওটেক্স (মশারির মতো কাপড়) দিয়ে আবৃত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্ডস কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এমন নিখুঁত সংস্কারের পেছনে গত চার মাস বিরামহীন-বিশ্রামহীনভাবে কাজে করে গেছেন একঝাঁক নিবেদিত প্রাণ কর্মী। আর পেছন থেকে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও অস্ট্রেলিয়ান পরামর্শক কোম্পানি ল্যাবোস্কোপ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ১১ জুলাই ২০১৭
এমআরপি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।