সিডন্সের হাত ধরেই সফলতার ভিত রচিত হয় বলে মনে করেন দেশসেরা ওপেনার। ২০০৭ বিশ্বকাপের পর যখন কোচ হিসেবে নিয়োগ পান দলটি অতটা অভিজ্ঞ ছিল না।
সিডন্সকে স্মরণ করে তামিমের ভাষ্য, ‘একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০০৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে নিজেকে গড়ে তুলেছি। আমরা সবসময় ভেবেছিলাম জিম, রানিং ও ফিটনেসে উন্নতি করাটাই কঠোর পরিশ্রম। জেমি (সিডন্স) তা পরিবর্তন করেন; তিনি বলেছিলেন কঠোর পরিশ্রম শুধু পাঁচ বা দশ কিলোমিটার দৌড়ানো না অথবা জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করা না। ’
‘তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কঠোর পরিশ্রম ব্যাটিং করেও হতে পারে। যদি একজন ব্যাটসম্যান বোলিং মেশিনে নেটে যায় এবং কাভার ড্রাইভ অথবা প্যাডে খেলা শুরু করে এটা সহজ প্র্যাকটিস। যখন পাঁজরের অংশে বল মোকাবেলার চেষ্টা করবে ওইটাই হার্ড ওয়ার্কিং। তিনি আমাদের মধ্যে এই পরিবর্তনটা এনেছিলেন। ’
সিডন্সের মেয়াদকালে উল্লেখযোগ্য সাফল্য না আসলেও চলে যাওয়ার পর তার কোচিংয়ের সুফল পাওয়া শুরু করে বাংলাদেশ। তামিম জোর দিয়েই বলছেন, সিডন্সই সাফল্যের ভিত গড়েছেন, ‘আমরা একটা কথা বলি যে কঠোর পরিশ্রম করলেই তৎক্ষণাৎ আপনি ফলাফল পাবেন না। কিছু সময় পর এর সুফল পাবেন। সেদিক থেকে জেমির দুর্ভাগ্য বলতে হবে যে তিনি সব হার্ড ওয়ার্কই করেছেন কিন্তু সাফল্যের স্বাদটা পাননি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২০৬ ঘণ্টা, ২৫ আগস্ট, ২০১৭
এমআরএম