কিন্তু নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছিলো ততই তার নামটি আলোচনায় উঠে আসে জোরালোভাবে। শেষ পর্যন্ত সবাইকে তাক লাগিয়ে মোট ১৮ ভোটের ১৩ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে জয়লাভ করলেন আশফাক।
আর প্রথমবারের মতো বিসিবি পরিচালক হিসেবে জয়লাভে দারুণ রোমাঞ্চিত কিশোরগঞ্জের এই ক্রীড়া সংগঠক, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে জয়লাভ করার আনন্দ বা অনুভূতিই অন্যরকম। আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে জয়লাভ করেছি সেজন্য আমাদের অনুভূতি এক কথায় চমৎকার। ’
নির্বাচক হিসেবে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নের জবাবে আশফাক জানান, ‘মাত্রই নির্বাচিত হলাম তাই পরিকল্পনা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্ট আছেন তার নেতৃত্বে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তীতে পরিকল্পনা ঠিক করা হবে এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন করা হবে। ’
তবে পরিকল্পনার কথা এখনই স্পষ্ট করে বলতে না পারলেও একটি বিষয়ে তার অবস্থান ছিলো সুস্পষ্ট। আর সেটি হলো জেলা লিগ গুলোকে প্রাধান্য দেয়া, ‘জেলার যে লিগ গুলো আছে সেই লিগ গুলিকে শক্তিশালী করতে হবে। আজকের মাশরফি, মোস্তাফিজের মতো প্লেয়ার জেলা লিগ থেকে উঠে এসেছে। তাই আমি চেষ্টা করবো প্রতিটি জেলাকে বিসিবি থেকে অনুদান নিয়ে লিগ কাঠামোটাকে শক্তিশালী করতে। ’
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে লড়াই হয়েছে মাত্র তিনটি পদের জন্য। এর দুটি ছিল ঢাকা ও একটি বরিশাল বিভাগের।
ঢাকা বিভাগ থেকে সৈয়দ আশফাকুল হক ছাড়াও মোট ১৮ ভোটের মধ্যে ১৩টি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী তানভির আহমেদ টিটু পেয়েছেন ৭ ভোট।
এদিকে বরিশাল বিভাগ থেকে বিসিবি’র সাবেক পরিচালক এমএ আউয়াল চৌধুরী ভুলুকে (২ ভোট) হারিয়ে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আলমগীর খান আলো (৫ ভোট)।
উল্লেখ্য, নতুন গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী বিসিবিতে পরিচালকের সংখ্যা ২৫ জন। এর মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় দু’জন বাদ দিয়ে বাকি ২৩ পরিচালকেরই ভোটের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনে আগেই ২০ পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। আর তীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসিসি) থেকে মনোনীত হয়ে পরিচালক হচ্ছেন আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি এবং এনায়েত হোসেন সিরাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ৩১ অক্টোবর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি