তাই ধারণা করা হচ্ছিলো এবারও তিনিই বরিশাল বিভাগ থেকে পরিচালক হতে যাচ্ছেন। কিন্তু ব্যালটের রাজনীতিতে সবাইকে চমকে দিয়ে ভুলুকে হারিয়ে জয়লাভ করলেন ক্রীড়া সংগঠক সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় আলমগীর খান আলো।
ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা এই জয়কে চমক হিসেবেই দেখছেন। বরিশাল বিভাগের মোট ৭ ভোটের আলো পেয়েছেন ৫টি। বাকি দুটি ভোট পেয়েছেন ভুলু।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে বিসিবির মিডিয়া লাউঞ্জে আলোকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
প্রথমবারের মতো বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় আলো জানান, ‘সবাই জানতো আমি বসে যাব কিন্তু বসিনি। আমার খেলোয়াড়ী জীবনে আমি কোনোদিন কোনো দলকেই ওয়াকওভার দেইনি। আমি যেটা বলেছি সেটাই করেছি। আল্লাহতায়ালা আমাকে জিতিয়েছেন তাই তার দরবারে আমি শুকরিয়া জানাচ্ছি। আপনারা আমার জন্য দোআ করবেন যেন আমি আমার সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে পারি। ’
যতগুলো বিভাগ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে বরিশাল বিভাগ। ওখানে জাতীয় লিগের খেলাও ঠিকমতো হয় না। এটা কী আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ কী না। সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নে আলোর সোজা উত্তর, ‘এটা আমার জন্য কোনো চ্যালেঞ্জই না। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। কেননা পাকিস্তান আমল থেকেই বরিশাল খেলাধুলার জন্য প্রষিদ্ধ ছিল। গত পরিষদের আগেও বরিশালে লিগ হয়েছে। তিন বছর ধরে বরিশাল ভেন্যুতে জাতীয় লিগ হয় না। এটা আমাদের চরম দুর্ভাগ্য ছিল। আমাদের কথা কে বলবে? বলার মতো কেউই ছিলো না। তাই আমাদের অবহেলিত বিভাগের কথা বলার জন্যই আল্লাহ আমাকে এখানে পাঠিয়েছে। নিশ্চয়ই এখন থেকে বরিশাল বিভাগের খেলা নিয়মিত হবে। আমি বরিশালের ঝিমিয়ে পড়া ক্রিকেটকে প্রাণ দিতে চাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ৩১ অক্টোবর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি