২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হবার পরের বছরই তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তারপরেও তিনি কাজ করে গেছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান হিসেবে।
তারপরেও ক্রিকেটের কথা চিন্তা করেই এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বলে জানালেন টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক, ‘সংসদ সদস্য হিসেবে আমার আরেকটা দায়িত্ব আছে এবং অনেক সময় সেখানে দিতে হয়। সামনে জাতীয় নির্বাচন তাই বিসিবি নির্বাচন না করারও একটা অবস্থা চলে এসেছিল। কিন্তু যেহেতু আমার রুটটা ক্রিকেট এবং ক্রিকেটের সঙ্গে একটা সম্পৃক্ততা আছে, তাই সেটাই আবার আমাকে নির্বাচনে ফিরিয়ে এনেছে। ক্রিকেটের জন্যই আজকে আমি এখানে। সবকিছুই হয়েছে ক্রিকেটের কারণে। ’
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি একথা বলেন।
এ সময় টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিসিবির নির্বাচিত পরিচালক হওয়ার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি জানান, ‘গতবারও নির্বাচন করে এসেছি এবারও নির্বাচন করতে হয়েছে, সেখানেও জিতেছি। নির্বাচন করতেও ভালোই লাগে আর নির্বাচন করে কোথাও আসলে সেখানে তৃপ্তিটা বেশি থাকে। কেননা ম্যান্ডেট নিয়ে আসার যে ব্যাপারটা থাকে তাতে নিজের অনুভূতিটা বেটার হয়। ’
ঢাকা বিভাগ থেকে দুই পরিচালক পদের নির্বাচনের লড়াইয়ে নাইমুর রহমান দুর্জয় ছাড়াও আরও তিন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন নারায়নগেঞ্জের তানভির আহমেদ টিটু, নরসিংদীর শাহীনুল ইসলাম ভুঁইয়া ও কিশোরগঞ্জের সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম।
তাদের ভেতর থেকেই মোট ১৮ ভোটের ১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন দুর্জয়। আরেক নির্বাচিত পরিচালক সৈয়দ আশফাকুল ইসলামও পেয়েছেন ১৩ ভোট।
সংখ্যার বিচারে ১৩ ভোটকে একেবারে কম মনে করছেন না দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত এই বিসিবি পরিচালক, ‘১৮ ভোটের ভেতরে ১৩ ভোট আমি খুব একট কম বলবো না। এখানে সর্বোচ্চ ভোট সবসময়ই পাবেন এটা ধরে নেয়া ঠিক না। যেহেতু প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে তাই ভোটের সংখ্যা কমেছে। তাছাড়া আমরা প্রার্থি ছিলাম ৪ জন। ফলে এখানে ভোট কাটাকাটি হওয়ার সম্ভাবনা সবসময়ই থাকে এবং হবেই। সেটাই হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ৩১ অক্টোবর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি