সম্প্রতি দেশের বাইরে দল হারলেও এমন বাজে পরিণতি দেখা যায়নি। আর এই বিষয়টিই ভাবিয়ে তুলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)।
তিনি বলেন, ‘ওভারঅল পারফরম্যান্স এতোটাই খারাপ ছিল, এটা নিয়ে আমাদের জানতে হবে, এখানে অন্য কোনো সমস্যা আছে কিনা? একটা জিনিস মনে রাথতে হবে, বাংলাদেশ হারতেও পারে, তবে এভাবে হারাটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনা। সো, এটা নিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কোচিং স্টাফদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমাদের আসল সমস্যা কি হয়েছে সেটা জানতে হবে। আমাদের শুধু বোলারদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। দলে এতো এতো ভালো ব্যাটসম্যান, এতো ফ্লাট উইকেটে তারাও কিছু করতে পারেনি। এই সমস্ত ব্যাপারগুলো আমাদের জানা দরকার। এবং এই বিষয়গুলো যত দ্রুত সম্ভব দূর করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। ’
অভিযোগ রয়েছে প্রতিটি সিরিজের পরই জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ছুটিতে চলে যান। আর সেকারণেই সিরিজ থেকে ফিরে কোচের সঙ্গে বসে ভুল-ত্রুটিগুলো সংশোধনের সুযোগ হয় না ক্রিকেটারদের। যদিও দেশীয় কোচিং স্টাফরা প্রধান কোচের অবর্তমানে ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু ক্রিকেট বোদ্ধারা মনে করেন তা পর্যাপ্ত নয়। কারণ একজন বিদেশি কোচের উপস্থিতি যে ভূমিকা রাখতে পারতো সেটি দেশের কোচিং স্টাফদের দিয়ে সম্ভব নয়।
তাই প্রশ্ন উঠেছে কোচের এই যত্রতত্র ছুটি নিয়ে। একই প্রশ্ন ছিল পাপনের কাছেও। তার জবাবে তিনি বললেন, ‘প্ল্যানের বাইরে তিনি কখনো ছুটিতে থাকে না। তার সঙ্গে আমাদের নির্ধারিত কোন ছুটির প্ল্যান নেই। যখন ছুটিতে যাওয়ার কথা তখনই তিনি ছুটিতে যান। যখন এখানে থাকার কথা তখন এখানে থাকেন। তবে এই সমস্ত জিনিস নিয়ে, প্রধান কোচের মতামত আমাদের জানা দরকার। এই পারফরম্যান্স নিয়ে তার মতামত জানা প্রয়োজন। কাজেই তার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ করতে হবে। যে যদি এখন ছুটিতে থাকে তাহলেও চেষ্টা করবো দেশে এনে তার সঙ্গে কথা বলার। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম