যদিও তার অধীনে চতুর্থ আসরে (২০১৬) কুমিল্লা শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি। সেতো হতেই পারে।
যাই হোক, সেই মাশরাফি যিনি বিপিএলের সর্বাধিক শিরোপাজয়ের মহানায়ক তার হাতে এবারের আসরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে গতবার বিপিএল যাত্রা শুরু করা রংপুর রাইডার্সের। তাই গেলবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়া রংপুরকে এবার ভিন্ন আঙ্গিকে এবং আরও দোর্দণ্ড প্রতাপে দেখা যাবে এই আশা করাই যায়।
চতুর্থ শিরোপা জয়ের তিলক না হোক টুর্নামেন্টের শেষচার আশা করাটা নিশ্চয়ই স্পর্ধার নামান্তর হবে না। তবে সেই কাজটি তার একার ওপরে ছেড়ে দিলে চলবে না। তিনি অধিনায়ক তাই সব দায়িত্ব তার একারই, এমন ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে দলগত পারফরম্যান্স করতে পারলেই শিরোপা জয় কিংবা শেষ চার কঠিন হলেও অসম্ভব হবে না।
আর কঠিন এই বাস্তবতাকে বাস্তবসম্মত করতে সহযোদ্ধা হিসেবে মাশরাফি যাদের পেয়েছেন, তারা অধিকাংশই প্রমাণিত। দেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক, ইলয়াস সানি, শাহরিয়ার নাফিস, রুবেল হোসেন, সোহাগ গাজী ও জিয়াউর রহমান ও মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে শিরোপা লড়াইয়ের অগ্নিপরীক্ষায় সামিল হওয়াটা যে কোন অধিনায়কের জন্যই উইন-উইন একটা অবস্থায় থাকা একথা বলাই যায়। পাশাপাশি নাজমুল হোসেন অপু, নাহিদুল ও এবাদত হোসেনরা তো আছেনই।
শুধু দেশি কেন? রংপুরে বিদেশি প্লেয়ারদের তালিকাটাও বেশ সমৃদ্ধ। যদি বলি এক ক্রিস গেইলই রংপুরের শিরোপা জয়ের অগ্রপথিক হিসেবে কাজ করবেন সেটা কী ভুল হবে? টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচাইতে বড় বিজ্ঞাপন গেইল রুদ্রমূর্তি ধারণ করলে প্রতিপক্ষ কীভাবে তুলোর মত উড়ে যায় সেটা বোধ করি ক্রিকেট ভক্তদের নতুন করে মনে করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই।
গেইলের সঙ্গে রংপুরের জার্সিতে দেখা যাবে আরেক মারকুটে ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। আরও আছেন; ঙ্কান অলরাউরন্ডার থিসারা পেরেরা, দুই ইংলিশ অলরাউন্ডার স্যাম হেইন ও ডেভিড উইলি, ইংলিশ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রাভি বোপারা, আফগান অলরাউরন্ডার সামউল্লাহ শেনওয়ারি, লউইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরাসহ ক্যারিবীয় লেগি স্যামুয়েল বদ্রি, ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস। যাদের সমন্বয়ে সেরা কম্বিনেশনটি দাঁড় করিয়ে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে মাশরাফি- গেইলের রংপুর রাইডার্স।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, ১ নভেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম