শ্রীলঙ্কার টেস্ট অধিনায়ক এদিন জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে তিনি একজন ‘ডাইনিবিদ্যায়’ পারদর্শীর কাছে আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন। যিনি আবার তার এক বন্ধুর মা।
চান্দিমাল বলেন, ‘সাফল্যের জন্য যেকোনো মানুষের আশীর্বাদ নিতে আমি সব সময়ে রাজি আছি। সে তিনি পাদ্রী হন বা মেয়নি। ’ কারও প্রতিভা থাকতেই পারে। কিন্তু এদের আশীর্বাদ ছাড়া কেউ এক পাও এগোতে পারবে না। আমি স্বেচ্ছায় মেয়নির আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলাম। ’
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে ২-০ জিতলেও তার পরে শ্রীলঙ্কা পাঁচ ম্যাচের একদিনের সিরিজ হারে ০-৫। এমনকী, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দলটি হেরেছেন ০-৩ ব্যবধানে।
এদিকে চান্দিমাল আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেন, শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রীই নাকি ওঝাদের আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন ক্রিকেটারদের। সপ্তাহখানেক আগে এ ব্যাপারে প্রশ্ন উঠলে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী দয়াসিরি জয়শেখর অবশ্য তা ‘ভিত্তিহীন’ বলে নাকচ করে দেন।
অবশ্য ভাগ্যগণনা বা এ ধরনের কোনও তথাকথিত ডাইনিবিদ্যায় পারদর্শীর কাছে গিয়ে কোনো বড়সড় কাজের আগে আশীর্বাদ নেওয়ার ঘটনা শ্রীলঙ্কায় এটিই প্রথম নয়। ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার সাবেক রাষ্ট্রপতি মাহিন্দা রাজাপাকসে তার ব্যক্তিগত জ্যোতিষীর সঙ্গে পরামর্শ করেই নির্বাচনে এগিয়েছিলেন। যদিও সেই নির্বাচনে হেরে যান তিনি।
শ্রীলঙ্কার সমর্থকরা যদিও তাদের টেস্ট অধিনায়কের এই মন্তব্যের পর ইন্টারনেটে রসিকতা শুরু করেছেন। কেউ কেউ আরও এক ধাপ এগিয়ে চান্দিমালের সেই বন্ধুর মাকে সরাসরি ‘প্রতারক’ও বলেন। ক্রিকেটে এমন ধরনের ঘটনা হালফিলে শোনা যায়নি। চান্দিমালের বক্তব্য শুধু তার দেশেই নয়, ক্রিকেট বিশ্বেই প্রবল চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ০১ নভেম্বর, ২০১৭
এমএমএস