বিপিএলে এবার তামিম ইকবালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জার্সিতে খেলার কথা ছিল হাফিজের। তবে ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে তৃতীয়বারের মতো নিষিদ্ধ হওয়া এই অলরাউন্ডার বাংলাদেশে এসে না খেলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
আইসিসি বোলিং আইনে পরিবর্তন এনেছে। সেহেতু ২০১৪ সালে প্রথমবার নিষিদ্ধ হওয়ার পরই নিজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে হাফিজের চিন্তা-ভাবনা করা উচিত ছিল বলে মনে করেন আকরাম, ‘আমি মনে করি হাফিজের এখন বোলিং ত্যাগ করে কেবলমাত্র ব্যাটিংয়ে নজর দেয়া উচিত। ব্যাটিংয়ে তার কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ’
অফস্পিনার হাফিজের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হিসেবে মূল্যায়ন হওয়ার পর তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইসিসি। গত মাসে আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে তার বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। গত ১ নভেম্বর আইসিসি স্বীকৃতি ইংল্যান্ডে লাফবোরো ইউনিভার্সিটিতে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন তিনি। রিপোর্টে প্রকাশিত হয় যে বেশিরভাগ বোলিং ডেলিভারিতেই হাফিজের কনুই বাঁকানোর মাত্রা ১৫ ডিগ্রি অতিক্রম করে। যা আইসিসির নিয়মের লঙ্ঘন।
ওয়াসিম আরও যোগ করেন, ‘হাফিজ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ক্যারিয়ারকে আরও বাড়িয়ে নেওয়ার মতো সামর্থ্য আছে তার। এখন ব্যাটিংয়ে তার কঠোর পরিশ্রম করা দরকার। আর এটা তার ক্যারিয়ারের জন্যই ভালো হবে। ’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তৃতীয়বার বোলিং থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে ৩৭ বছর বয়সী হাফিজকে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে প্রথমবার তার বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। ডিসেম্বর থেকে নিষিদ্ধ থাকেন। ২০১৫ সালের এপ্রিলে বোলিং অ্যাকশন শুধরে আইসিসির ছাড়পত্র পান। কিন্তু কয়েক মাস পরেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টের পর ফের হাফিজের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচিত হয়। পরে আবারো নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ২৪ মাসের মধ্যে দু’বার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হওয়ার শাস্তিস্বরূপ ১২ মাসের জন্য বোলিং থেকে নিষিদ্ধ হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরপি