তামিম কেনই বা বলবেন না? বিপিএলের চলতি আসরে সিলেট ও চট্টগ্রাম পর্বে যে রান বন্যা দেখা গেছে তা শের-ই-বাংলায় একেবারেই অনুপস্থিত। চট্টগ্রামের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই গড়ে ১৭০-১৮০ করে রান দেখা গেছে।
সিলেটর গড় অতটা বেশি না হলেও মিরপুরের মত এতটা লোয়ার স্কোরিং ছিল না। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আটটি ম্যাচের সর্বন্ম্নি স্কোর ছিলো ১৩৫ রান। আর সর্বোচ্চ ২০২ রান।
যেখানে মিরপুরের চিত্র সম্পূর্ণই উল্টো। রান বন্যা দূরে থাক, টি-টোয়েন্টিতে স্বাভাবিক যে রান (১২০-১৪০) তাই বা এখানে আসছে কই? ঢাকার প্রথম পর্বে ব্যতিক্রম ছিলো একটি বা দুটি ম্যাচ (ঢাকা ডায়নামাইটসের ২০১ রান)। কিন্তু ব্যতিক্রম তো আর উদারহরণ হতে পারে না।
ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগগুলোতে সাধারণত চার ছক্কার ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের আশা নিয়েই দর্শকেরা টিকিট কেটে মাঠে ভীড় জমান। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে একমাত্র মিরপুরেই তাদের সেই আশায় গুঁড়েবালি পরে!
মোটামুটি মানের ব্যাটিং ট্র্যাক হলেও হতো। এতো পুরোদস্তুর বোলিং ট্র্যাক! বোলারদের বল যেন ব্যাটম্যানরা খেলতেই পারছেন না। গুড লেংথের বলও বাউন্সার হয়ে চলে যাচ্ছে ব্যাটসম্যানদের মাথার ওপর দিয়ে।
উইকেটের এমন বিরুপ আচরণেই শনিবার (২ ডিসেম্বর) তামিমদের বিপক্ষে মাত্র ৯৭ রানের সংগ্রহ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় মাশরাফির রংপুর রাইডার্সকে। আবার সেই স্বল্প সংগ্রহ তাড়া করতে গিয়ে উইকেট হারাতে হয়েছে ৬টি, তাও আবার টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের ফলাফল আসে শেষ ওভারে!
বিষয়টি নিয়ে তাই দারুণ চটেছেন তামিম। সম্মেলন কক্ষে এসেই বললেন, ‘আমার প্রশ্ন আপনাদের কাছে উনি সবসময় একটা এক্সকিউজ দেয় যে প্রচন্ড পরিমান খেলা হয় বলেই উইকেট এমন হয়। কিন্তু শেষ দশ দিন খেলা হয়নি, উইকেটে বিশ্রাম হয়েছে। এরপরও সেই উইকেট! এটা সেই (কিউরেটর) উত্তর দিতে পারবে। ’
‘আমার কাছে যে জিনিসটা খারাপ লাগছে, এতগুলো দর্শক আসলো, তারা এসে যদি দেখে ৯৭ রান আর ৯৭ রানের খেলা শেষ হবে শেষের ওভারে। এই খেলা দেখা তাদের জন্য ভীষণ হতাশার। আমরা সবাই চাই বিপিএল আস্তে আস্তে উপরে উঠুক। সেজন্য উইকেটটা তো ঠিক থাকতে হবে। কিন্তু এমন জঘন্য উইকেটে খেলা হলে তো সম্ভব না। ’-যোগ করেন তামিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, ২ ডিসেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম