কিন্তু দ্বিতীয় আসরে এসেই যেন ইউটার্ন নিলেন। দলের প্রয়োজনের সময় উইকেট নিয়ে ইতোমধ্যেই হয়ে উঠেছেন কুমিল্লার নির্ভরতার প্রতীক।
কিন্তু আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে বঞ্চিত হন এই অফস্পিনার। পরের ওভারে অল্পের জন্য মিস করেন ম্যাককালামের স্ট্যাম্প। সেই ম্যাককালামকে সেদিন মেহেদি ঠিকই ফিরিয়েছেন। এক বল পরেই বোল্ড করেন শাহরিয়ার নাফিসকে।
ওই ম্যাচের পর চট্টগ্রামে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ১টি উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। তবে নিজেকে বোধ হয় সবচেয়ে বেশি মেলে ধরেছেন শনিবার (২ ডিসেম্বর) রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে। একাই চারটি উইকেট নিয়েছেন। সবকটিই বোল্ড। তাও আবার গেইল, ম্যাককালাম ও জিয়াউর রহমানের মতো বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানদের উইকেট।
৪ ওভার বল করে মাত্র ২২ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেটের সমৃদ্ধ এক ভান্ডার গড়েছেন এই ২২ বছর বয়সী তরুণ। ৬ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ৭। এমন প্রতিভাধর বোলারের প্রতি সবারই বাড়তি দৃষ্টি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।
যার ব্যতিক্রম দেখা গেল না তার কুমিল্লার সতীর্থ অধিনায়ক তামিম ইকবালকেও, ‘আমার মনে হয়, টুর্নামেন্টে যতগুলো ম্যাচ সে খেলেছে, খুব ভালো বোলিং করেছে। কিছু ম্যাচে উইকেট পেয়েছে কিছু ম্যাচে উইকেট পায়নি কিন্তু ভালো বোলিং করেছে। ওর বোলিংয়ের যে ধরণ আমার খুব পছন্দ। দলের জন্য যা দরকার সেভাবেই করেছে। আমি খুব বেশি অবাক হইনি যে, আজকে ৪ উইকেট পেয়েছে। এর যোগ্য সে, এই সামর্থ্য ওর আছে। এমন দিন যাবে যেদিন ৪ ওভারে ৪০ রান দেবে, সেদিনও বাজে বোলার হয়ে যাবে না। মেহেদি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো প্রাপ্তি। ওকে আমাদের সবাই মিলে ভালো যত্ন নেওয়া উচিত। ’
এখানেই থামেননি তামিম। মেহেদীকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হলে আগামীতে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্যে একটি সম্পদে পরিণত হবেন বলে বিশ্বাস তার, ‘আমরা সবাই মিলে যত্ন নিতে পারি। সে আমাদের জন্য সম্পদে পরিণত হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ২ ডিসেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম