ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সার্জারি ছাড়াই খেলতে প্রস্তুত সাকিব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
সার্জারি ছাড়াই খেলতে প্রস্তুত সাকিব দেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গ্রেগ হয়কে চোটগ্রস্থ আঙুল দেখিয়ে একটি বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। আগামি ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে ক্ষতে অস্ত্রোপচার করা যাবে না। তবে তার কনিষ্ঠার ইনফেকশন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আছে এখন।

মাঝের এই সময়টা মাঠে ফিরতে যা যা করণীয় তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে ইতোমধ্যেই পরামর্শ করে নিয়েছেন সাকিব। চিকিৎসক জানিয়ে দিয়েছেন অস্ত্রোপচার না করেও খেলতে পারবেন তিনি।

তবে তা নিশ্চত নয়, শুধুই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন গ্রেগ হয়। সেই সম্ভাবনাই সাকিবকে মাঠে ফিরতে আশার সঞ্চার করছে।  
 
রোববার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে মেলবোর্ন থেকে দেশে ফিরে হযতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাকিব বলেন, ‘সার্জারি ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে করা যাবে না। করা যাবে না কারণ, যদি ইনফেকশন বোনের ভেতরে থেকে থাকে সেটা আসলে সরার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওখানে ব্লাড যায় না। যেহেতু অ্যান্টিবায়োটিকরা ব্লাডের মাধ্যমে ছড়ায়, যেখানে ব্লাড যায় না সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক কিভাবে কাজ করবে। তাই এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কোনো সার্জারি করা যাবে না। ’ 

এই হাতেই চোট পান সাকিব আল হাসান।  ছবি: শোয়েব মিথুন

‘কিন্তু ভালো দিক হচ্ছে সার্জারি না করেও হয়তো খেলা সম্ভব হতে পারে। এখন যেহেতু সার্জারি করার সুযোগ নেই, আমি বলেন আর ফিজিওর পরামর্শে বলেন ওই দিকটা চিন্তা করা হচ্ছে যে সার্জারি বাদে কিভাবে খেলা যায়। ’

আঙুলের আপডেট জানাতে সাকিব বলেন, ‘আপডেট ভালো। ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করতে হবে। এটা আবার বাড়ল বা অন্য কোনো সমস্যা হলো কিনা। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইনফেকশন আন্ডার কন্ট্রোল। ’

নিয়ন্ত্রনে আছে বলেই একমাসের মধ্যে মাঠে নামার সাহস করছেন এই বাঁহাতি টাইগার অলরাউন্ডার। অবশ্য সেটা পুরোপুরিই নির্ভর করছে তার রিহ্যাব ও আঙুলের স্ট্রেংথের উপর। স্বাভাবিক থাকলে ম্যাচ খেলায় কোন জটিলতার সৃষ্টি হবে না। আর যদি স্ট্রেংথ ফিরে না আসে এবং ক্ষতে ব্যথা থাকে তাহলে অস্ত্রোপচার না করিয়ে উপায় নেই।
 
সাকিব বলেন, ‘এটা আসলে এমন একটা সমস্যা যেটার আসলে কোনো সময় সীমা নাই। হতে পারে যে সামনের মাসেও খেলতে পারি। এখন আমার হাতে ব্যথা নেই। খুব ভালো অনুভব করছি। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার হাতের স্ট্রেন্থ কতক্ষণে ফিরে আসে। রিহ্যাবের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পারে। যদি আসে তাহলে  সামনের মাসেও খেলতে পারি। আবার রিহ্যাবের পর যদি ব্যথা অনুভব করি তাহলে আবার ওয়েট করতে হবে যে কখন সার্জারি করতে পারব। ’
‘এটা আসলে খুব অনিশ্চিত। আবার একটা জিনিস ভালো যে ইনফেকশন হবার পর এখন সেটা কমে গেছে। এখন সার্জারি বাদেও খেলা যেতে পারে। যদি সেটা হয় তাহলে সেটা হবে সব থেকে বেস্ট অপশন। বাট এটা আসলে কনফার্ম বলাটা মুশকিল। হতে পারে একমাস পরেও খেলতে পারি আবার ছয় মাসও লাগতে পারে। আশা করি একমাস পরই খেলতে পারব। তারপরও যেহেতু স্ট্রেন্থ আসার ব্যাপার আছে। একমাস হয়তো হবে না। একটু সময় বেশিই লাগবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮ 
এইচএল/এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।