২০১৯ সালের আসরকে সামনে রেখে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত খেলোয়াড় ধরে রাখা কিংবা ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ আছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য। এই সময়ে পুরনো খেলোয়াড় ধরে রাখার পাশাপাশি নতুন খেলোয়াড় কেনার সুযোগ থাকছে।
২০১৮ সালের নিলামে ২.৮ কোটি রুপিতে ডি কককে কিনে নিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ওই আসরে ৮ ম্যাচ খেলে ২০১ রান করেছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ঠিক একই দামে তাকে কিনে নিয়েছে মুম্বাই। আর এই মূল্য ব্যালেন্স করতে তারা ছেড়ে দিয়েছে মোস্তাফিজ (২.২ কোটি রুপি) ও শ্রীলঙ্কার স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়াকে (৫০ লাখ রুপি)।
মুম্বাইয়ে দুজন উইকেটরক্ষক আগে থেকেই আছেন। ইশান কিশান আর আদিত্য তারে থাকা সত্যেও কুইন্টন ডি কককে নেওয়া হয়েছে মূলত টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে। গত আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার্ড-হিটিং ব্যাটসম্যান এভিন লুইস ও সূর্যকুমার যাদবকে ওপেনিংয়ে আর কিশানকে তিন নম্বরে নামিয়ে খুব একটা সাফল্য পায়নি মুম্বাই। এজন্যই হয়তো ডিক কককে দলে ভিড়িয়েছে দলটি।
আইপিএলে নিজের প্রথম আসরে (২০১৬) সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে দারুণ অভিষেক ঘটে মোস্তাফিজের। আইপিএলে নিজের প্রথম আসরেই দলকে শিরোপা জিতিয়ে নির্বাচিত হন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার। কিন্তু পরের আসরে খেলার আগে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া লিগে সাসেক্সের হয়ে খেলতে গিয়ে পড়েন ইনজুরিতে। সেই রেশ না কাটায় হায়দ্রাবাদের হয়ে তেমন সুযোগ পাননি খেলার।
আইপিএলে মুম্বাইয়ের হয়ে গত আসরে বল হাতে খুব একটা খারাপ কাটেনি মোস্তাফিজের। এবারও ইনজুরির ছাপ ছিল তার শরীরে। বল হাতে ফর্ম খুব একটা খারাপ না হলেও শেষ মুহূর্তে বল হাতে দল জেতাতে ব্যর্থ হন তিনি। ফিল্ডিংও ছিল বেশ বাজে। গতবার ৭ ম্যাচে ৮.৩৬ গড়ে ২৩০ রানের বিনিময়ে ঝুলিতে পুরেন সাত উইকেট।
তবে মুম্বাই ছেড়ে দিলেও অবশ্য মোস্তাফিজের কিছু আসে যায় না। কারণ, এর আগেই মোস্তাফিজকে আগামী দু’বছর বিদেশি লিগে খেলায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মূলত বিদেশি লিগে খেলতে গিয়ে বারবার তার ইনজুরিতে পড়ার প্রবণতার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
এমএইচএম