আর মাত্র ৮টি ডিসমিসাল করতে পারলেই ওয়ানডে ক্রিকেটে সেরা ১০ উইকেটরক্ষকের তালিকায় প্রবেশ করবেন মুশফিক।
উইকেটকিপিংকে শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছিলেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও দক্ষিণ আফ্রিকান গ্রেট মার্ক বাউচার।
ক্যারিয়ারে ২৮৭টি ওয়ানডে ম্যাচে ৪৭২ ডিসমিসাল করেছেন গিলক্রিস্ট। আর ২৯৫ ম্যাচ খেলে ৪২৪ ডিসমিসাল করেছেন বাউচার। তবে তালিকায় শীর্ষে কিন্তু এরা দুজন নন। বরং ৪০৪ ম্যাচে ৪৮২ ডিসমিসাল নিয়ে শীর্ষে আছেন শ্রীলঙ্কান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারা।
এশিয়ার দেশগুলোতে উইকেটকিপিংয়ের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন মঈন খান (২০৯), কুমার সাঙ্গাকারা, মহেন্দ্র সিং ধোনি (৩৩২), বাংলাদেশের খালেদ মাসুদ পাইলটরা। বাংলাদেশের একসময়ের সেরা উইকেটরক্ষক খালেদ মাসুদ ১২৬ ওয়ানডে ম্যাচে ১২৬ ডিসমিসাল (৯১ ক্যাচ আর ৩৫ স্টাম্পিং) করেছেন।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল করেছেন মুশফিক। ১৯২ ওয়ানডে ম্যাচে ১৯৭ ডিসমিসাল নিয়ে তিনি ওয়ানডের শীর্ষ দশের ঠিক এক ধাপ বাইরে অবস্থান করছেন। আর মাত্র ৩টি ডিসমিসাল করতে পারলেই ২০০ ডিসমিসাল করা ১১তম উইকেটরক্ষক হয়ে যাবেন মুশফিক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক উইকেটরক্ষক জেফরি ডুজন ১৬৯ ম্যাচে ২০৪টি ডিসমিসাল নিয়ে দশে অবস্থান করছেন। আর মাত্র ৮টি ডিসমিসাল করতে পারলে মুশফিক উঠে আসবেন সেরা দশে। এরপর সেরাদের কাতারে আরও এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা তার সামনে পরিষ্কার। কারণ, সেরা দশে থাকা একমাত্র ধোনি ছাড়া আর কেউ আর এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন না।
বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে একমাত্র ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার আছেন মুশফিকের কাছাকাছি। ১২১ ম্যাচে ১৭৮টি ডিসমিসাল নিয়ে ১৬তম স্থানে থাকা বাটলার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস