ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

ধৈর্য, সামর্থ্য কোনোটিই নেই টাইগ্রেসদের!

মহিবুর রহমান, স্পেশাল করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
ধৈর্য, সামর্থ্য কোনোটিই নেই টাইগ্রেসদের! রুমানা আহমেদ-ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ৪৬, ৭৬, ৭২, ৭৯। হার! হার! হার! হার! এই হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দলীয় সংগ্রহ এবং ফলাফল। অথচ পুরো বছর কী দুর্দান্তই না খেলেছে লাল সবুজের অদম্য এই দলটি। এই সালমা, রুমানারাই জুনে মালয়েশিয়ায় প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়নের মুকুট জয়ের দুর্লভ গৌরব এনে দেন দেশকে।

একই মাসে আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়েও স্বাগতিকদের সিরিজ হারিয়ে ভুয়সী প্রশংসা কুড়ালেন। পরের মাসে অর্থাৎ জুলাইয়ে নেদারল্যান্ডসে গিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হলেন সবার সেরা।

মানে যেখানেই হাত দিয়েছেন সোনা ফলেছে।
 
তাহলে বিশ্বকাপে এই হাল কেন? মিলিয়ন ডলারের সেই প্রশ্নটিই করা হয়েছিল নারী ক্রিকেট দলের সিনিয়র সদস্য অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদকে। উত্তরের শুরুতেই নিজেদের দুর্ভাগা বললেন। এরপর বললেন নিখাঁদ সত্যটি। বৈশ্বিক মঞ্চে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ব্যাটিংয়ের জন্য যে ধৈর্য প্রয়োজন তা এখনো তাদের ভেতরে জন্মায়নি।
 
‘আপনারা সবাই জানেন যে, আমাদের ব্যাটিংয়ের ফলাফলটা ভালো আসেনি। আসলে দুর্ভাগ্য। তাছাড়া সবসময় যে সবাই ফর্মে থাকে এমন না বিষয়টি। আমাদের ব্যাটিং ধৈর্য কম। ’

বাংলাদেশ নারী দল প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিল ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে। পরেরটি ২০১৬ সালে ভারতে। সবশেষ চলতি আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। অর্থাৎ, বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা দলটির এটাই প্রথম নয়। তাছাড়া জুনে যে এশিয়া কাপ শিরোপাটি তারা উঁচিয়ে ধরেছিলেন সেটা কিন্তু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেরই ছিল।
 
তাহলে বৈশ্বিক মঞ্চে এই হাল কেন? কন্ডিশন প্রতিকূল ছিলে নাকি প্রতিপক্ষ বেশি কঠিন ছিল? (উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘এ’তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল; ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ) এমন প্রশ্নের জবাবে নিজেদের অজ্ঞ ও অসমর্থ দাবী করলেন এই টাইগ্রেস। সেটা বিশ্বকাপ খেলায় এখনও টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং ধরন রপ্ত না করার করণেই।
 
‘এটা কিন্তু আমাদের তৃতীয় বিশ্বকাপ ছিল। আমাদের সাথে যারা খেলেছে তাদের অনেকেই আট দশবার বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছে। ওখানে কন্ডিশন তেমন কঠিন ছিল না। প্রতিপক্ষ কঠিন তার মানে এই না আমরা ওদের সাথে পারব না। একটা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলা আর মূল টুর্নামেন্ট খেলার মধ্যে অনেক পার্থক্য। ' 

'সত্যি কথা বলতে টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো এত বড় একটা পর্যায়ে খেলতে যে সামর্থ প্রয়োজন তা আমাদের মধ্যে এখনো আসেনি। সেটা এবার গিয়ে বুঝতে পারলাম। ওই পর্যায়ে খেলতে হলে আমাদের ব্যাটিং নিয়ে আরও পরিশ্রম করতে হবে। ’
 
বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের সবক’টি ম্যাচ হেরে গতকাল বুধবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।