ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে চিন্তায় আইসিসি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে চিন্তায় আইসিসি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে অনিশ্চয়তা-ছবি: সংগৃহীত

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জের এবার ক্রিকেটেও পড়েছে। আগামী ১৬ জুন ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠেয় এই দুই দলের মধ্যকার ম্যাচ নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে আইসিসি ও ২০১৯ বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটি।। অথচ এই লড়াই পুরো আসরের সবচেয়ে বেশি আকাঙ্ক্ষিত। ফলে যেকোনো উপায়ে ম্যাচটি আয়োজন করতে চায় আইসিসি।

আর মাত্র তিন মাস পর বিশ্বকাপের আসর বসবে। কিন্তু তার আগে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক এতোটাই তলানিতে ঠেকে গেছে যে, ভারতের অনেকেই বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে বয়কটের আহবান জানাচ্ছে।

অনেক সাবেক ক্রিকেট তারকা (যেমন- হরভজন সিং) গ্রুপ পর্বের ওই ম্যাচ না খেলতে ভারতের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই মাঠে আর মাঠের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তাপ। ম্যাচ শুরুর বহু আগে থেকেই কথার লড়াইয়ে নামে দুই পক্ষ। যা ছড়িয়ে পড়ে সমর্থকদের মধ্যেও। এবার সেই উত্তাপ বহুগুণ বেড়ে যাবে সাম্প্রতিক ঘটনায়। এই ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা এতোই যে, টিকিট ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৫ লাখ আবেদন জমা পড়ে। এমনকি ১৪ জুলাই ফাইনাল ম্যাচের টিকিটের জন্য আবেদন পড়েছে মাত্র আড়াই লাখ।

তবে আইসিসির জন্য স্বস্তি এটাই যে, দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড এখনো সরাসরি মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছে। কিন্তু বিসিসিআই ও পিসিবি’র অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, জুনের এত আগে এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে না। অবশ্য আগামী সপ্তাহে দুবাইয়ে বোর্ড মিটিংয়ে দুই দেশের বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা মুখোমুখি হবেন। সেখান থেকেই হয়তো কোনো ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।

আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন কাশ্মীর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, দুই বোর্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ম্যাচ বানচালের কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। তবে আমরা বিসিসিআই ও পিসিবিতে আমাদের সহযোগীদের মাধ্যমে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।

ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে এবারই প্রথম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে এমন নয়। তবে রিচার্ডসন আশাবাদী, ‘খেলা, বিশেষ করে ক্রিকেটের একটি বিশেষত্ব হলো এটি মানুষকে এক কাতারে আনতে বড় ভূমিকা রাখে। আশা করি ক্রিকেট মানুষকে বিভক্ত করার চেয়ে একত্রিত করার কাজে ব্যবহৃত হবে। ’

ম্যাচটা আয়োজনে আইসিসি কতটা উন্মুখ সেটা বোঝা যায় বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির পরিচালক স্টিভ এলওর্দির কথায়, ‘এটা সম্ভবত বিশ্বের অন্যতম বড় আসর। এই ম্যাচকে ঘিরে বহু মানুষের আবেগ, অনুভূতি জড়িত। এই ম্যাচের টিকিটের জন্য ৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে, যা অবিশ্বাস্য। অথচ স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা মাত্র ২৫ হাজার। ’

‘ফলে বহু মানুষ হতাশ হবে (ম্যাচ মাঠে না গড়ালে)। এটা শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, সারা দুনিয়ার দর্শকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এমনকি ফাইনালের জন্য এর অর্ধেক আবেদনও জমা পড়েনি। এটা বড় ম্যাচ। তারা এমনকি ফাইনালেও মুখোমুখি হতে পারে। ’

ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ না থাকা মানে বিশ্বকাপের আসল সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়া। তবে এমন কিছু হবে না এমনটাই বিশ্বাস রিচার্ডসন ও এলওর্দির। তারা দু’জনে এটা ভেবে রাতের ঘুম হারাম করতে রাজি নন। বরং, অসাধারণ ওই ম্যাচ দেখার জন্য তর সইছে না তাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।