ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিফলে গেইলের সেঞ্চুরি, রেকর্ডময় ম্যাচে জয় ইংলিশদের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
বিফলে গেইলের সেঞ্চুরি, রেকর্ডময় ম্যাচে জয় ইংলিশদের রুট-রয়ের সেঞ্চুরিতে দারুণ জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড-ছবি: সংগৃহীত

বয়স্ক শব্দটা ঠিক ক্রিস গেইলের সঙ্গে যায় না। তার সামর্থ্য আর দেহ-সৌষ্ঠব দেখলে তার বয়স বোঝার সুযোগ নেই বললেই চলে। সেই গেইলের ব্যাটে অনেকদিন বাদে দেখা দিল ঝড়। একটা কীর্তিও গড়লেন। সবচেয়ে বেশি বয়সে ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাঁকানোদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে এখন তার নাম। কিন্তু তাতেও অবশ্য দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি। কারণ গেইলকে ছাপিয়ে গেছেন দুই তরুণ ইংলিশ ব্যাটসম্যান। জো রুট ও জেসন রয়ের দুটো অসাধারণ সেঞ্চুরিতে শেষ হাসিটা হেসেছে ইংল্যান্ড।

ব্রিজটাউনে বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে গেইলের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের সামনে ৩৬১ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় উইন্ডিজ। সেই টার্গেট পেরিয়ে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।

 

৩৬১ রানের টার্গেট পূরণ করে দল হিসেবে একটা রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের ক্রিকেট ইতিহাসে এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই। সবমিলিয়ে ওয়ানডেতে তৃতীয়। রেকর্ড গড়েছে উইন্ডিজও। ব্যাটিং ইনিংসে বিশ্ব রেকর্ড ২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছে তারা, যার ১২টি এসেছে গেইলের ব্যাট থেকে।  

উইন্ডিজ ইনিংসে ব্যাট হাতে নজর কেড়েছেন অভিষিক্ত জন ক্যাম্পবেল। ২৫ বলে তার ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। একইসময় অপর প্রান্তে ২৩ বলে মাত্র ৬ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন গেইল। ওকসের বলে ক্যাম্পবেল বিদায় নিলে ক্রিজে আসেন শাই হোপ। গেইল এরপরও ধুঁকতে থাকেন। মাঝে একবার লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটের বলে জেসন রয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান ‘ক্যারিবীয় দানব’।

হোপকে সঙ্গী পেয়ে ক্রমেই বিধ্বংসী রূপে ধরা দেন গেইল। দুজনে মিলে ১৩১ রানের জুটিও গড়েন। ৬৪ রান করে হোপ বিদায় নিলেও গেইলের ঝড় চলতেই থাকে। ঠিক ১০০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে উইন্ডিজ দলে ফেরার দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখেন তিনি।
১৩৫ রানে বিদায় নেন গেইল। এরপর লোয়ার অর্ডারের সহায়তায় ৩৬০ রান তুলতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। ইনিংসের শেষ বলে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়তে সাহায্য করেন অ্যাশলে নার্স।

ইংলিশদের ইনিংসের শুরুটাও ভালোই হয়। রয় আর জনি বেয়ারস্টো মিলে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। প্রথম ৬ ওভারেই দলকে ৫০ রানের কোটা পার করান দুজন মিলে। গেইলের ক্যাচ মিস করার খেসারত দিতেই কি-না একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন রয়।

৩৪ রান করা বেয়ারস্টোকে বিদায় করেন জেসন হোল্ডার। এরপরই শুরু হয় রুট তাণ্ডব। তবে রয় আর রুট দুজনেই বেশ কয়েকবার জীবন পেয়েছেন। সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নেন রয় আর বিদায় নেন ১২৩ রান করে। তার বিদায়েও ছন্দ হারায়নি ইংলিশরা।  

সেঞ্চুরি করেন রুটও (১০২)। রুট আর মরগান (৬৫) মিলে দলকে জয়ের বন্দরের ঠিক কাছে পৌঁছে দিয়ে বিদায় নেন।  দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১১৬ রান। আর তাতেই সিরিজটা জয় দিয়েই শুরু করলো সফরকারীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।