দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জয়। যা এর আগে করতে পেরেছে শুধু অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা-২২২ ও ১২৮
শ্রীলঙ্কা-১৫৪ ও ১৯৭/২ (টার্গেট ১৯৭)
ডারবানে প্রথম টেস্টে কুশল পেরেরার অবিশ্বাস্য ও বীরোচিত ব্যাটিংয়ে ভর করে ১ উইকেটের জয় পায় সফরকারীরা। এবার পোর্ট এলিজাবেথেও আসে দুর্দান্ত এক জয়। স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি লঙ্কানরা গড়ে ইতিহাসও। গত তিন দশকের মধ্যে প্রথমবার উপমহাদেশের দলগুলোর মধ্যে একমাত্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ হারলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইতিহাস ঘেটে পাওয়া যায়, নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে টানা চারটি সিরিজ হারার রেকর্ড আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ১৮৮৮-৮৯ থেকে ১৮৯৮-৯৯ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত চারটি সিরিজই হারে প্রোটিয়ারা। ১৯০২ সালে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে খেলতে গিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে ফেরে অস্ট্রেলিয়া।
১৯১৩, ১৯২১ এবং ১৯২২ সালে ঘরের মাঠে আবারও ইংল্যান্ড (২বার) ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ হারে প্রোটিয়ারা। ১৯৩৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ৪-০ এবং ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ড ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকার মাটি থেকে। এরপর ১৯৪৯-৫০ সালেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জেতে প্রোটিয়াদের মাটি থেকে। সর্বশেষ ২০১৫-১৬ সালে সিরিজ জয় করে ইংল্যান্ড।
তবে এই দুটি দেশ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জয়ের ইতিহাস নেই আর কোনো দলের। সেখানে সেই অসাধ্য সাধন করে ফেললো শ্রীলঙ্কা।
পোর্ট এলিজাবেথে লঙ্কান পেসার সুরাঙ্গা লাকমালের গতি আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ঘূর্ণির সামনে খুব বেশি দূর যেতে পারেননি আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১২৮ রানেই অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। যার ফলে লঙ্কানদের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় কেবল ১৯৭ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে দিমুথ করুনারত্নে ১৯ ও লাহিরু থিরিমান্নে ১০ রানে ফেরার পর জয়ের লড়াই শুরু করেন ওসাদা ফার্নান্দো ও কুশল মেন্ডিস। শেষ পর্যন্ত ফার্নান্দোর ৭৫ রান ও মেন্ডিসের ৮৪ রানে ঐতিহাসিক জয় পায় লঙ্কানরা। দুইদিন হাতে রেখেই এমন জয়ের দিনে স্বাগতিক বোলাররা কোনো বাধাই তৈরি করতে পারেনি লঙ্কানদের সামনে।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। এছাড়া ৪ উইকেট নেন অলিভিয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
এমকেএম