সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ‘বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিং করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে শেখ জামাল। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানেই থেমে যায় খেলাঘর।
শেখ জামালের ছুড়ে দেওয়া ১৭০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল খেলাঘর। প্রথম উইকেট হারানোর আগে তাদের স্কোর বোর্ডে জমা হয়েছিল ৪১ রান। দ্বিতীয় উইকেট জুটি আরও বেশি রান যোগ করে। ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি ও অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন মিলে গড়েন ৭৪ রানের জুটি।
অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথেই নিচ্ছিলেন রবিউল। কিন্তু দলীয় ১১৫ রানে শেখ জামালের স্পিনার ইলিয়াস সানির বলে তানভির হায়দারের হাতে ক্যাচ দিলে শেষ হয় তার ৫১ বলে ৬৯ রানের ইনিংসটি। ৭ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন তিনি।
রবিউলের বিদায়ের পরই মূলত পথ হারিয়ে ফেলে খেলাঘর। এরপর আর ১৩ রান যুক্ত হতেই অধিনায়ক অঙ্কন (৩৪ বলে ৩৪ রান) বিদায় নিলে খেলাঘরের দরজায় পরাজয় কড়া নাড়তে থাকে। বাকি সময়ে একমাত্র মাসুম খানের ব্যাটে (৮ বলে ১৯ রান) কিছুটা ঝড় দেখে গেলেও তাতে পরাজয় এড়াতে পারেনি খেলাঘর।
বল হাতে ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচ করলেও গুরুত্বপূর্ণ ৪ উইকেট তুলে নেন শেখ জামালের পেসার শহিদুল ইসলাম, যার ফলে তিনি ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
এর আগে, টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ও ফারদিন হাসানের ব্যাটে ভালো শুরু পায় শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। দুজনে ওপেনিং জুটিতে ৩৮ রান যোগ করার পর বিদায় নেন ফারদিন।
এরপর হাসানুজ্জামান (২৬) এসে ইমতিয়াজকে সঙ্গ দেন দলীয় ৭৮ রান পর্যন্ত। তার বিদায়ের পর ৩ রান যোগ হতেই আউট হন ইমতিয়াজও (৩১)। এরপর হাল ধরেন নাসির হোসেন ও অধিনায়ক নুরুল হাসান। দুজনে ৬৫ রানের জুটি গড়েন। নাসিরের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ৩৪ রান এবং নুরুলের ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান (২৮ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায়)।
বল হাতে খেলাঘরের মইনুল ইসলাম তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন রবিউল হক, ইরফান হোসেন ও তানভির ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এমএইচএম