শারজার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হারিস সোহাইলের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ২৮০ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৮ উইকেট আর ১ ওভার হাতে রেখে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
২৮১ রানে টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে ভাল সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ওসমান খাজা ও অ্যারোন ফিঞ্চ। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৩ রান আসে এ দুজনের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় উইকেটে ফিঞ্চের সাথে জুটি বাঁধেন শন মার্শ। এই দুই জনের ব্যাটেই জয়ের ভিত পায় অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের বোলারদের শাসন করতে থাকেন ফিঞ্চ ও মার্শ।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চ। ১৭২ রানে জুটি গড়েন ফিঞ্চ এবং মার্শ। দলীয় ২৩৫ রানে ব্যক্তিগত ১১৬ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ফিঞ্চ। তার ইনিংসটি ৮টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানো ছিলো। অন্য প্রান্তে শন মার্শ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম অর্ধ শতক তুলে নেন। পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও মার্শ মিলে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ৪৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৮১ রান তোলে অজিরা। মার্শ ৯১ রান ও হ্যান্ডসকম্ব ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন। পাকিস্তানের মোহাম্মদ আব্বাস ও ফাহিম আশরাফ ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রান যোগ করেন দুই ওপেনার ইমামুল হক ও শান মাসুদ। ইমামুল ১৭ রান করে আউট হন। দলীয় ৭৮ রানে ব্যক্তিগত ৪০ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার শান মাসুদ। তৃতীয় উইকেটে উমর আকমলকে সাথে নিয়ে শক্ত প্রতিরোধ গড়েন হারিস সোহাইল। ৯৮ রান আসে এদুজনের ব্যাট থেকে। উমর আকমল ৪৮ রান করে দলীয় ১৭৬ রানে অাউট হন। অধিনায়ক শোয়েব মালিক ১১ রান করে দ্রুত বিদায় নেন।
ফাহিম আশরাফকে সাথে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন সোহাইল। আশরাফ ২৮ রান করে আউট হন। এরপর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন সোহাইল। শেষ দিকে ইমাদ ওয়াসিম ১৩ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললে ৫ উইকেটে ২৮০ স্কোর বোর্ডে জমা করে পাকিস্তান। হারিস সোহাইল ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন। পাকিস্তানের কাইল্টার নাইল ২টি এবং রিচার্ডসন, লিওন ও ম্যাক্সওয়েল ১টি করে উইকেট নেন।
অজি অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চ ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ২৪ মার্চ একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘন্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
আরএআর