২৬৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৯ রানে মধ্যে মিজানুর রহমান ও ফজলে মাহমুদের উইকেট হারায় ব্রাদার্স। তৃতীয় উইকেটে ৯৩ রান যোগ করে দলকে জয়ের কক্ষপথে রাখেন জুনায়েদ সিদ্দিকি ও চিরাগ জনি।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে জয়ের কাজটা আরোও সজহ করে দেন জনি ও ইয়াসির আলী। ৭৪ রানের জুটি গড়েন তারা। ব্যক্তিগত ৩৮ রান করে যখন ইয়াসির আউট হন স্কোর বোর্ডে রান তখন ১৯৬।
পঞ্চম উইকেটে জনি ও শরিফুল্লাহর ব্যাটে ব্রাদার্সের জয়টা সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। ৫৬ রান আসে এই দু’জনের ব্যাট থেকে। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন ভারতীয় রিক্রুট জনি। ব্যক্তিগত ৯৬ রানে তিনি আউট হন। স্কোর বোর্ডে রান তখন ২৫২। জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ছিল ১৬ রান। এরপরই হঠাৎ যেন ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায়। জাহিদুজ্জামান, মোহম্মদ শরীফ ৪৯ তম ওভারে বিদায় নিলে ২৫৬ রানে ৭ উইকেট হারায় ব্রাদার্স। শেষ ওভাবে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। সুমন খানের করা শেষ ওভারে প্রথম ৫ বলে ৯ রান তুলে নেয় ব্রাদার্স আর এবাদত হোসেনের উইকেট হারায়। শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩ রান। কিন্তু রান নিতে গিয়ে শাখাওয়াত রান আউট হলে ২ রানের দারুণ এক জয় পায় বিকেএসপি। ব্রাদার্সের মুকিদুল ৪টি, শামীম ২টি ও নওশাদ ১টি উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বিকেএসপি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সেই চাপ সামাল দেন আমিনুল ইসলাম ও শামীম হোসাইন। ৬৬ রানে জুটি গড়েন তারা। দলীয় ৯১ রানে আমিনুল ২৩ রান করে আউট হন।
এরপর ব্যাক্তিগত ৭১ রান করে দলীয় ১২৪ রানে বিদায় নেন শামীম। ষষ্ঠ উইকেটে আবারো প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক আকবর আলী ও পারভেজ হোসাইন ইমন। ৯০ রান আসে এ দু’জনের ব্যাট থেকে। আকবর ৫৬ রান করে বিদায় নেন। দলের রান তখন ২১৪। নওশাদ ইকবালও দ্রুত বিদায় নেন। পারভেজ ৬৯ রান করে করে দলীয় ২৬৪ রানে বিদায় নেন। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে বিকেএসপি। ব্রাদার্স ইউনিয়নের মোহাম্মদ শরীফ ৩টি, এবাদত হোসাইন ২টি এবং শরিফুল্লাহ, জ্যানি ও নাঈম ইসলাম জুনিয়র ১টি করে উইকেট নেন।
বিকেএসপির শামীম হোসাইন ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার আট নম্বরে উঠে এসেছে বিকেএসপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘন্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
আরএআর/এমএমএস