শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ানের অভিষেক সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২৮৪ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অ্যারন ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে ১৩ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
২৮৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই পাকিস্তানের বোলারদের শাসন করতে থাকেন দুই অজি ওপেনার উসমান খাজা ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। পুরো ম্যাচটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন তারা। পাকিস্তানের বোলারদের কোনো রকম সুযোগই দেননি তারা।
দুই’শ রানের জুটিতে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় পাকিস্তান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি তুলে নেন অজি অধিনায়ক ফিঞ্চ। তবে সেঞ্চুরি মিস করেছেন আরেক ওপেনার ওসমান খাজা। ২০৯ রানে ভাঙে প্রথম উইকেট জুটি। ৮৮ রান করে আউট হন খাজা। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান।
তবে এরপর আর কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন ফিঞ্চ ও শন মার্শ। ১৩ বল হাতে রেখে ২ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ফিঞ্চ ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ১৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। পাকিস্তানের ইয়াসির শাহ ১টি উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার ইমাম-উল-হকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। দলীয় ৩৫ রানে আউট হন আরেক ওপেনার শান মাসুদ। তৃতীয় উইকেটে ৫২ রান যোগ করে চাপ সামাল দেন হারিস সোহাইল ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। সোহাইল ৩৪ রান করে দলীয় ৮৭ রানে আউট হন। এরপর উমর আকমল ১৬ রান করে প্যাভিলিয়ন ফেরত যান।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক শোয়েব মালিককে সঙ্গে নিয়ে শক্ত প্রতিরোধ গড়েন রিজওয়ান। এ দু’জনের ব্যাটে ভর করেই ২০০ রানে কোটা পার করে পাকিস্তান। ১২৭ রান আসে শোয়েব মালিক ও রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। রিজওয়ান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলের নেন। শোয়েব মালিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৪তম অর্ধ শতক তুলে নেন। ২৩৯ রানে শোয়েব মালিক ৬০ রান করে আউট হন। রিজওয়ান ১১৫ রান করে যখন আউট হন স্কোর বোর্ডে রান তখন ২৫৪। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাড়ায় ৭ উইকেটে ২৮৪ রান। অস্ট্রেলিয়ার কোউলটার নাইল ও রিচার্ডসন ২টি এবং লিওন জাম্পা ও ফিঞ্চ ১টি করে উইকেট নেন।
অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ২৭ মার্চ আবুধাবিতে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
আরএআর/এসএইচ