শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুবাইয়ে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান সংগ্রহ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান।
এই জয়ে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
এই নিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসের চতুর্থবারের মতো দুটি সেঞ্চুরি নিয়েও হারের মুখ দেখলো কোনো দল।
২৭৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আবিদ আর রিজওয়ানের ১৪৪ রানের জুটিতে বেশ ভালোই জবাব দিচ্ছিল। দুজনে মিলে দলের স্কোর ২ উইকেটে ২১৮ পর্যন্ত টেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু মিডল অর্ডার ও লোয়ার-মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় সর্বনাশ হয় পাকিস্তানের।
আবিদের ব্যাট থেকে আসে ১১৯ বলে ১১২ রান। অভিষেক ওয়ানডেতে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর এটি। ৩১ বছর বয়সে অভিষেক হওয়া আবিদ এই ইনিংস দিয়ে বিশ্বকাপের দলে নিজের অন্তর্ভুক্তির দাবি জোরালো করলেন।
পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান রিজওয়ানও দারুণ শতক হাঁকিয়েছেন। তার ব্যাট থেকে ১০৪ রানের ইনিংস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা যথেষ্ট প্রতীয়মান হয়নি। জয় থেকে ৬ রান আগেই থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার নাথান কোল্টার-নাইল নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট গেছে মার্কাস স্টয়নিসের ঝুলিতে। শেষ ওভারে রিজওয়ান আর উসমান শেনওয়ারিকে (৬) আউট করে নাটকীয় জয় নিশ্চিত করেন স্টয়নিস।
এর আগে মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন অজি ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু তার ওই ইনিংসে ভর করেই স্লো-পিচে ২৭৭ রানের সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারানোর পর অ্যালেক্স ক্যারিকে (৫৫) নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন ম্যাক্সওয়েল।
চার বছরের মধ্যে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির একদম কাছে থাকা অবস্থায় ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ বলে দ্রুত ২ রান নিতে গিয়ে রান আউটের খাড়ায় পড়েন ম্যাক্সওয়েল।
শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে, ফর্মে থাকা অ্যারন ফিঞ্চ ও উসমান খাজা ১২ ওভারের জুটিতে ৫৬ রান সংগ্রহ করেন। পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৯ রান আসে ফিঞ্চের ব্যাট থেকে।
দুই ওপেনার ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যান আসা-যাওয়ার মাঝেই ব্যস্ত থাকেন। তবে লোয়ার-মিডল অর্ডারে নেমে ম্যাক্সওয়েল ৮২ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংস খেলেন। তাকে সঙ্গ দেন ক্যারি। সেঞ্চুরি না পেলেও ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাক্সওয়েল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
এমএইচএম