ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

অপরাধ করে স্মিথ নিষিদ্ধ হন ১ ম্যাচ, আর সাকিব?

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
অপরাধ করে স্মিথ নিষিদ্ধ হন ১ ম্যাচ, আর সাকিব? ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির প্রস্তাব পেয়েছিলেন, কিন্তু রাজি হননি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, জুয়াড়িদের প্রস্তাব পাওয়ার কথা আইসিসি’কে জানাননি কেন? এই দোষেই দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে এসেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ঘাড়ে। 

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে আইসিসির এ ঘোষণার পরপরই রীতিমতো তুলকালাম শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। দেশ-বিদেশের কোটি কোটি সাকিবভক্ত তো বটেই, আইসিসির এমন সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বহু তারকা ও সাবেক ক্রিকেটাররা।

বেশিরভাগ ক্রিকেটবোদ্ধাদের মতে, লঘু পাপে গুরু দণ্ড পেয়েছেন সাকিব। সেক্ষেত্রে কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে বল টেম্পারিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগে দেওয়া শাস্তির কথাও উদাহরণ স্বরূপ টেনেছেন কেউ কেউ।

আরও পড়ুন> ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ‘নিষিদ্ধ’ হলেন সাকিব

গত বছরের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিন অজিদের বল টেম্পারিং নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে তোলপাড় পড়ে যায়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ফিল্ডিংয়ের সময় অজি ক্রিকেটার ক্যামেরুন ব্যানক্রফট পকেট থেকে শিরিষ কাগজ জাতীয় কিছু বের করে বলের আকৃতি পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। পরে সংবাদ মাধ্যমে স্মিথ ও ব্যানক্রফট বল টেম্পারিংয়ের কথা স্বীকার করে নেন।

এ স্বীকারোক্তির পরের দিনই অস্ট্রেলীয় সরকার স্মিথকে অধিনায়কত্বের পদ থেকে সরিয়ে দিতে অজি ক্রিকেট বোর্ডকে চাপ দেয়। ফলে অধিনায়কত্ব ছাড়তে হয় তাকে। পদত্যাগ করেন সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও।  

পরে স্মিথ-ওয়ার্নারকে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আর টেম্পারিংয়ে সরাসরি যুক্ত থাকা ব্যানক্রফট নিষেধাজ্ঞা পান নয় মাসের জন্য।

তবে, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি বল বিকৃতির এই ঘটনায় স্মিথকে চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়ে এক টেস্টের নিষেধাজ্ঞা ও ম্যাচ ফির শতভাগ জরিমানা করে। আর ব্যানক্রফটকে নিষেধাজ্ঞা না দিলেও ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা ও তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন> সাকিবের সঙ্গে জুয়াড়ির কী কথা হয়েছিল?

প্রায় দেড় বছর পর স্মিথ-ওয়ার্নার-ব্যানক্রফটের ওই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। তবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ভুল করে বলছেন, স্মিথকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা আইসিসি দিয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা ছিল মাত্র এক ম্যাচের। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড। আর এ বিষয়টিই ক্রিকেটভক্তদের মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকর হর্ষ ভোগলে।  

হর্ষ ভোগলের টুইট।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক টুইটে তিনি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, আমার সন্দেহ, অনেকেই অবগত নয় যে, ওয়ার্নার ও স্মিথের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, আইসিসি নয়। তারা যে অপরাধ করেছে অতীতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য সাজা ছিল বড়জোর এক ম্যাচ বহিষ্কার।

সাকিবের সাজা প্রসঙ্গে এদিন একাধিক টুইট করেছেন ভোগলে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথাসহ আশা করেছেন, সাকিব শিগগরিই ফিরে আবারও মাঠ মাতাবেন।

আরও পড়ুন> এই নিষেধাজ্ঞাই সাকিবের নতুন শুরু: শিশির

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।