ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

দূষিত বায়ুর মাঝে ‘প্রাণ’ ফিরবে টাইগারদের?

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৯
দূষিত বায়ুর মাঝে ‘প্রাণ’ ফিরবে টাইগারদের? প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নামবে বাংলাদেশ (ছবি: সংগৃহীত)

ভারতে এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ সফরে গেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে টাইগারদের মিশন। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রোববার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা আটটায় শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি।

দুই দলের সিরিজ শুরুর আগে আলোচনায় সাকিব, কোহলি আর দিল্লির দূষিত বায়ু। তামিম, সাইফউদ্দিনের শেষ বেলায় ভারত সফর মিস নিয়েও আলোচনা কম হয়নি।

ক্রিকেট বোদ্ধাদের মতে, টাইগারদের ‘প্রাণ’ ফেরানোর ম্যাচ হতে পারে প্রথম টি-টোয়েন্টি। নিষেধাজ্ঞার জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াডে নেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে গিয়েছেন ভারতের নিয়মিত দলপতি বিরাট কোহলি। সাকিবের জায়গায় টাইগারদের নেতৃত্ব দেবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর কোহলির জায়গায় টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা।

দিল্লির দূষিত বায়ুতে খেলতে হবে দুই দলকে। যদিও অনুশীলনে কোনো ঘাটতি রাখেনি রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। স্কোয়াড থেকে ছিঠকে গেছেন তরুণ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকদের পাশে ভারতীয় চেনা কন্ডিশনে মোস্তাফিজুর রহমানও জ্বলে ওঠার চেষ্টা করবেন। সুযোগ পেলে নিজেদের প্রমাণ করতে চাইবেন স্পিনার আরাফাত সানি আর পেসার আল আমিন হোসেন। এই দুজনই জাতীয় দলে এসেছেন তিন বছর পর।

এক সাকিবের জায়গায় বাংলাদেশকে খেলাতে হবে দুইজনকে। উইকেট আর মাঠের কন্ডিশন বিবেচনায় ব্যাটিংয়ে সাকিবের তিন নম্বর পজিশনে দেখা যেতে পারে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা ২০ বছরের তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম শেখকে। যিনি গত মাসেই কলম্বোতে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি হাঁকিয়েছেন। আবার তিন নম্বরে নাঈম শেখের জায়গায় দেখা যেতে পারে মোহাম্মদ মিঠুনকে।

বোলার সাকিবের শূন্যস্থান পূরণে একাদশে দেখা যেতে পারে আরাফাত সানিকে। একজন অতিরিক্ত স্পিনার খেলাতে চাইলে তাইজুলকে নিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে মোস্তাফিজের পাশে পেস বোলিং ইউনিটে দেখা যেতে পারে আল আমিন কিংবা আবু হায়দার রনিকে।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম/মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, আরাফাত সানি, মোস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেন এবং আবু হায়দার রনি/তাইজুল ইসলাম।

ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, সঞ্জু স্যামসন/লোকেশ রাহুল, শ্রেয়ার্স ইয়ার, রিশব প্যান্ট, শিভাম দুবে, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ওয়াশিংটন সুন্দর, যুভেন্দ্র চাহাল/রাহুল চাহার, দীপক চাহার, শার্দুল ঠাকুর/খালেদ আহমেদ।

ক্রিকেটের ক্ষুদ্র এই সংস্করণে অতীত থেকে কোনো অনুপ্রেরণা নিতে পারছে না বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে আটবারের মুখোমুখিতে একবারও ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে, সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওঠা টাইগারদের আত্মবিশ্বাসের পালে কিছুটা হলেও হাওয়া দিচ্ছে।

২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ট্রেন্টব্রিজে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত। সেই ম্যাচে ২৫ রানে হারে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মিরপুর কোহলি-রোহিতরা ৮ উইকেটে হারায় বাংলাদেশকে। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে মিরপুরে ৪৫ রানে হারে স্বাগতিক বাংলাদেশ। মুখোমুখি চতুর্থ দেখায় ২০১৬ সালে আরেকটি এশিয়া কাপের ফাইনালে মিরপুরে স্বাগতিকদের হারিয়ে শিরোপা জেতে টিম ইন্ডিয়া।

রাতে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেই ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে উড়ে যায় মাশরাফির দল। বেঙ্গালুরুতে মুখোমুখি দেখার ম্যাচটি টাইগার ভক্তরা কোনোদিন হয়তো ভুলবেন না। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর বিগ শটে দলকে জেতানোর তাড়ণায় ম্যাচটি হারতে হয়েছিল। বাংলাদেশ হেরেছিল মাত্র ১ রানে। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কায় আয়োজিত নিদাহাস ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে কলম্বোতেও হেরেছিল বাংলাদেশ। ৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় ভারত। সেই সিরিজে মুখোমুখি দ্বিতীয় দেখায় ১৭ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। আর সবশেষ নিদাহাস ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনাল মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত। সৌম্য সরকারের করা শেষ বলে ভারতের জেতার জন্য দরকার ছিল ৫ রানের। দিনেশ কার্তিক শেষ বলে ছক্কা মেরে ভারতকে জেতালে আরেকবার স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় নীল হতে হয় টাইগারদের।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।