ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ব্যাটসম্যানদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৯
ব্যাটসম্যানদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ ১৪৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

১৪৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। শুরু থেকে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারতকে বেশিদূর যেতে দেননি টাইগার বোলাররা। সিরিজে লিড নিতে চাইলে মুশফিক-সৌম্যদের করতে হবে ১৪৯ রান। এ রিপোর্ট লেখা অবধি, বাংলাদেশ ১৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১১৪ রান। উইকেটে আছেন মাহমুদউল্লাহ এবং মুশফিকুর রহিম। বাকি ১৮ বলে করতে হবে আরও ৩৫ রান।

ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৮ রানের মাথায় বিদায় ওপেনার লিটন দাস (৭)। এরপর জুটি গড়েন সৌম্য সরকার এবং মোহাম্মদ নাঈম।

দ্বিতীয় জুটিতে তারা যোগ করেন ৪৬ রান। ব্যক্তিগত ২৬ রান করে বিদায় নেন নাঈম। যুভেন্দ্র চাহালের বলে বিগ শটে শিখর ধাওয়ানের হাতে ধরা পড়েন ২৮ বলে দুই চার আর একটি ছক্কা হাঁকানো এই অভিষিক্ত।  তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬০ রান যোগ করেন সৌম্য সরকার এবং মুশফিকুর রহিম। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে বিদায় নেন সৌম্য। খলিল আহমেদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে সৌম্য ৩৫ বলে এক চার আর দুই ছক্কায় তার ইনিংসটি সাজান। ১৭তম ওভারে দলীয় ১১৪ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এর আগে টি-টোয়েন্টির হাজারতম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা তোলে ১৪৮ রান।

বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম শেখের। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রোববার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। আর এই ম্যাচটি বিশেষভাবেই গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন মাইলফলক ছোঁয়ার কারণে। ২০০৫ সালে ক্রিকেটের ক্ষুদ্র এই সংস্করণ চালুর পর বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচটি স্থান করে নিয়েছে টি-টোয়েন্টির ১০০০তম ম্যাচ হিসেবে।

ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৯ রানে এলবির ফাঁদে পড়েন রোহিত। দলীয় ১০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর দলীয় ৩৬ রানের মাথায় আমিনুল ইসলামের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে দেন ১৭ বলে ১৫ রান করা লোকেশ রাহুল। দলীয় ৭০ রানের মাথায় আবারও আঘাত হানেন লেগ স্পিনার আমিনুল। এবার ফিরিয়ে দেন শ্রেয়ার্স আইয়ারকে। ১৩ বলে এক চার আর দুই ছক্কায় ২২ রান করে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

ম্যাচের ১৫তম ওভারে রানআউট হন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। বিদায়ের আগে এই ওপেনার ৪২ বলে করেন ৪১ রান। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার আর একটি ছক্কার মার। দলীয় ৯৫ রানের মাথায় ভারত চতুর্থ উইকেট হারায়। ১০২ রানের মাথায় বিদায় নেন অভিষিক্ত শিভাম দুবে (১)। আফিফ হোসেনের বলে তারই হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই অভিষিক্ত। ২৬ বলে ২৭ রান করা রিশব পান্থকে ফেরান শফিউল ইসলাম। ক্রুনাল পান্ডিয়া ৮ বলে ১৫ এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের হয়ে শফিউল ইসলাম ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি। মোস্তাফিজ ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। ৩ ওভারে আমিনুল ২২ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। সৌম্য সরকার ২ ওভারে ১৬, মোসাদ্দেক ১ ওভারে ৮, মাহমুদউল্লাহ ১ ওভারে ১০ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। আল আমিন ৪ ওভারে ২৭ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি। আফিফ হোসেন ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে পান একটি উইকেট।

বরাবরের মতো ভারতসহ উপমহাদেশে স্টার স্পোর্টসের মাধ্যমে দেখা যাবে সিরিজটি। স্টার স্পোর্টস ছাড়াও বাংলাদেশে সিরিজের টিভি স্বত্ব নিয়েছে আরও দুইটি চ্যানেল। গাজী টিভিসহ (জিটিভি)চ্যানেল নাইনের পর্দায় খেলা দেখা যাবে। পাশাপাশি দেশের সরকারি চ্যানেল বিটিভি ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে। ভারতীয়রা অনলাইন দেখতে পারবেন হটস্টারের মাধ্যমে এবং বাংলাদেশে দেখা যাবে র‌্যাবিটহোলের মাধ্যমে। স্কাই স্পোর্টস, ফক্স স্পোর্টসেও দেখা যাবে সিরিজটি।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।