ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

প্রথম দিনেই সোহরাওয়ার্দী ও তাইবুরের সেঞ্চুরি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
প্রথম দিনেই সোহরাওয়ার্দী ও তাইবুরের সেঞ্চুরি দুই সেঞ্চুরিয়ান সোহরাওয়ার্দী শুভ ও তাইবুর রহামন: ছবি-সংগৃহীত

শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া রংপুর বিভাগকে উদ্ধার করেছেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। এই অলরাউন্ডারের সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২৬৩ রানে প্রথমদিন শেষ করেছে নাঈম ইসলামের দল। 

শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ষষ্ঠ রাউন্ডে টায়ার-ওয়ানে মুখোমুখি হয় রংপুর-রাজশাহী। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর।

ইনিংসের প্রথম বলে গোল্ডেন ডাক নিয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মেহেদী মারুফ। এর পরপরই মোহর শেখের বলে বোল্ড হোন আরেক ওপেনার জাহিদ জাবেদ।  

শুরুর বিপর্যয় সামাল দেয় সোহরাওয়ার্দী ও অধিনায়ক নাঈমের ব্যাট। দু’জনে গড়েন ৭৬ রানের জুটি। দলীয় ৮৭ রানে নাঈমকে (৪০) নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মোহর। ফর্মে থাকা নাসির হোসেনও (৫) ফেরেন দ্রুত। পুনরায় চাপে পড়া রংপুরকে ধীর-স্থির ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নিয়ে যান সোহরাওয়ার্দী। আরিফুল হকের সঙ্গে ১১১ রানের জুটি গড়ার পাশাপাশি সেঞ্চুরিও তুলে নেন তিনি।  

সোহরওয়ার্দী-আরিফুলের জুটি ভাঙেন মোহর। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে বিদায় নেন আরিফুল। দলীয় ২৩৫ রানে দেলওয়ার হোসেনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হোন সোহরাওয়ার্দীও। জুনাঈদ সিদ্দিকীর তালুবন্দী হওয়ার আগে ২১৭ বলে ১৫ চারে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।  

এরপর দ্রুত ধীমান ঘোষ (৯) ও আলাউদ্দিন বাবুকে (৩) হারায় রংপুর। আগামীকাল চারদিনের টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান তানভীর হায়দার (২৬) ও রিশাদ হোসেন (১)।  

রাজশাহীর হয়ে ৫৫ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন দেলোয়ার। মোহর শেখ নিয়েছেন ৩টি।

টায়ার-ওয়ানের আরেক ম্যাচে সোহরাওয়ার্দীর মতো ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়েছেন তাইবুর রহমান। তার সেঞ্চুরিতে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৭৩ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে ঢাকা বিভাগ।  

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টসে জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিক খুলনা। শুরুতেই আব্দুল হালিমের আগুন ঝরা বোলিংয়ে ডাক নিয়ে সাজঘরে ফেরেন উত্তম কুমার ও শফিউল হায়াত। দলীয় ৪৭ রানে আউট হোন রাকিবুল হাসানও (২৬)।  

এরপর বিপযর্য সামাল দেন আব্দুল মাজিদ। তিনিও অবশ্য ব্যক্তিগত ৬৬ রানে বোল্ড হোন হালিমের বলে। তার আগে তাইবুরের সঙ্গে ১২৯ রানের জুটি গড়েন। মাজিদের পর শুভাগত হোমকে সঙ্গে নিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন তাইবুর। তবে এবারও খুলনাকে ম্যাচে ফেরান হালিম। তাইবুরকে বোল্ড করে দুজনের ৭৪ রানের জুটি ভাঙেন তিনি।  

সাজঘরে ফেরার আগে ১৮৯ বলে ১১০ রান করেন তাইবুর। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। শেষদিকে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন আরাফাত সানি ও মাহবুবুল আলম। আগামীকাল দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন ঢাকার দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শুভাগত (৫৬) ও নজরুল ইসলাম (৫)।  

খুলনার হয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন হালিম। জিয়াউর রহমানের শিকার ২ উইকেট।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
ইউবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।