ভারত তাদের টেস্ট ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্টটি বাংলাদেশের সাথেই খেলেছে। এই ম্যাচকে ঘিরে বাড়তি আয়োজন করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ঘণ্টা বাজিয়ে টেস্ট শুরু করার জন্য। টেস্ট শুরু হওয়ার অনেক আগেই টেস্টের প্রথম চার দিনের সব টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যায়।
এতো সব আয়োজন শুধু একটি টেস্টকে ঘিরেই। কিন্তু এই টেস্ট রাঙ্গিয়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। আড়াই দিনেই শেষ টেস্ট ম্যাচ। হতাশ কলকাতার দর্শকরাও। টেস্ট ক্রিকেটকে ঘিরে এতো আগ্রহ আগে কখনো দেখা গিয়েছে বলে মনে হয় না।
টেস্ট শুরু আগেই পুরো স্টেডিয়াম দর্শকে পরিপূর্ণ এমন দৃশ্য টেস্ট ক্রিকেটের জন্য আশীর্বাদ। যেখানে দিন দিন টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা হারিয়ে যাচ্ছে সেখানে আগেভাগেই টিকিট বিক্রি শেষ, এটা তো টেস্ট ইতিহাসে খুব একটা দেখা যায় না। এই টেস্ট দেখতে দর্শকদের আগ্রহের কোনো কমতি ছিল না। প্রথম দুই দিনতো স্টেডিয়াম দেখে মনেই হয়নি যে এটা কোনো টেস্ট ম্যাচ চলছে। তবে, দ্বিতীয় দিনেই খেলার ফলাফল প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। তৃতীয় দিনে মাত্র এক ঘণ্টা খেলা হলেও দর্শকের আগ্রহে কোনো কমতি ছিল না।
তৃতীয় দিন দর্শকরা তাদের হতাশা প্রকাশ করেন। খেলা শেষ হওয়ার পর স্টেডিয়ামের আশে পাশে ঘুরে শোনা যায় টেস্ট নিয়ে মানুষের আফসোসের কথা। চায়ের দোকানে বসেও অালোচনা আর আফসোস ‘আরও দুদিন টেস্টটা হলে ভালো হতো’। টেস্ট শেষ হওয়ার পরও কোনো দেশের দর্শক যখন এমন হতাশা প্রকাশ করে তখন বোঝার বাকি থাকে না দিবারাত্রির টেস্ট নিয়ে কলকাতার মানুষের আগ্রহ কতটুকু।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
আরএআর/এমআরপি