এই মিঠুনই একমাত্র বোলার যিনি ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের শীর্ষ তিন টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেলেন। এর আগে বিজয় হাজারে ট্রফি আর রঞ্জি ট্রফিতেও হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি।
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম সেমি ফাইনালে মিঠুনের তাণ্ডুবে বোলিংয়ের পর কর্ণাটক জিতেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। হরিয়ানার বিপক্ষে এই জয়ে ট্রফির ফাইনালেও উঠেছে মিঠুনের দল কর্ণাটক।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সেমি ফাইনালের ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে হরিয়ানা ৮ উইকেটে তোলে ১৯৪ রান। জবাবে, লোকেশ রাহুল, দেভদুত পাডিকাল আর মায়াঙ্গা আগারওয়ালের ব্যাটে ১৫ ওভারেই জয় তুলে নেয় ২ উইকেট হারানো কর্ণাটক।
হরিয়ানার ব্যাটিং ইনিংসের শেষ ওভারে কর্ণাটকের অধিনায়ক মানিষ পান্ডে বোলিংয়ে আনেন ৩ ওভারে ৩৭ রান খরচায় কোনো উইকেট না পাওয়া মিঠুনকে। ম্যাচ শেষে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৪-০-৩৯-৫। মানে নিজের ও দলের শেষ ওভারে মিঠুন তুলে নেন হ্যাটট্রিক সহ পাঁচটি উইকেট।
১৯.১ ওভারে মিঠুনের শিকার হন হিমাংশু রানা, পরের বলে ফেরেন রাহুল তিওয়ারি, তৃতীয় বলে বিদায় নেন সুমিত কুমার। তাতে হ্যাটট্রিকের দেখা পান মিঠুন। চতুর্থ বলে বিদায় নেন অমিত মিশ্র, পঞ্চম বলে একটি ওয়াইড হয়, পরে একটি সিঙ্গেল রান নেন হরিয়ানার ব্যাটসম্যানরা। শেষ বলে জয়ন্ত যাদবকে ফিরিয়ে এক ওভারে হ্যাটট্রিক সহ পাঁচ উইকেট তুলে নেন মিঠুন।
১৯৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩১ বলে চারটি চার আর ছয়টি ছক্কায় ৬৬ রান করেন লোকেশ রাহুল। আরেক ওপেনার দেভদুত পাডিকাল ৪২ বলে ১১টি চার আর চারটি ছক্কায় করেন ৮৭ রান। তিন নম্বরে নামা মায়াঙ্ক আগারওয়াল ১৪ বলে তিন ছক্কায় ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। দলপতি মানিশ পান্ডে ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এমআরপি