তদন্তে আরও প্রকাশ হয়, ১৯৯৬ সালে রাজকোটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবং ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালের পেপসি কাপে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সাথে আজহারের জড়িত থাকার ঘটনা। নাম চলে আসে অজয় জাদেজার।
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আজহারকে নিষিদ্ধ করা হলে অন্ধ্র প্রদেশের উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। মামলাটি দীর্ঘদিন প্রক্রিয়াধীন থাকার পর ২০১২ সালে উচ্চ আদালত তার ওপর থেকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ততদিনে ক্রিকেট ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যায় ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের।
এবার নতুন এক চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে হায়দ্রাবাদের ক্রিকেট সংস্থার নতুন প্রেসিডেন্ট আজহার। ক্রিকেট সংস্থায় দুর্নীতি দমন করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে তাকে।
বেশ কিছু ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা আজহারকে জানিয়ে দিয়েছেন হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট সংস্থায় দুর্নীতির কোনও সীমা নেই। লিখিত সেই অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করবেন আজহার।
নিজের ক্রিকেট সংস্থাকে দুর্নীতি মুক্ত করার তাগিদে আজহার ভারতীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘আমরা ভারত-উইন্ডিজ ম্যাচের আয়োজক হিসেবে কাজ করছি। আসন্ন সিরিজে আগামী ৬ ডিসেম্বর দল দুটি আমাদের এখানে খেরতে নামবে। আমি এরপরই দুর্নীতি নিয়ে মাথা ঘামাবো। কারণ আমার ক্রিকেট প্রশাসকের জীবনটা শুরু হচ্ছে এই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে। আমরা এই ম্যাচটা আয়োজন করার জন্য পুরোপুরি তৈরি। প্রশাসক হিসেবে এটা আমার প্রথম ম্যাচ। বুঝতে পারছি, একটা ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা কত কঠিন। ’
আজহার আরও জানান, ‘ক্রিকেট খেলা আর ক্রিকেট প্রশাসন সামলানো দুটো সম্পূর্ণ আলাদা দিক। তবু ক্রিকেট খেলে যেটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা প্রশাসনিক জীবনে কাজে লাগাতে চাই। সত্যি বলতে, আমার কিছুটা টেনশনও হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এমআরপি