ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মায়ার্সের অতিমানবীয় ডাবল সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের হার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১
মায়ার্সের অতিমানবীয় ডাবল সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের হার অভিষেক টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন কায়েল মায়ার্স। ছবি: সোহেল সরওয়ার

এক কায়েল মায়ার্সের কাছেই চট্টগ্রাম টেস্ট হেরে গেল বাংলাদেশ। তার অতিমানবীয় ডাবল সেঞ্চুরি স্বাগতিকদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়।

প্রায় অসম্ভব ম্যাচে ৪ উইকেটের জয়ে দুই টেস্ট সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৩০ ও ২২৩/৮ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৫৯ ও ৩৯৫/৭
(লক্ষ্য-৩৯৫)

৩৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের মাটিতে তো বটেই, এই জয়টি এশিয়ার মাটিতেই রেকর্ড হয়ে রইল। এর আগে এই জহুর আহমেদ মাঠেই নিউজিল্যান্ড ৩১৭ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল।

অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি করা মাত্র ষষ্ঠ ব্যাটসম্যানের খাতায় নাম লেখালেন মায়ার্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে লরেন্স রো’র পর দ্বিতীয়। পাশাপাশি চতুর্থ উইকেট জুটি করা মায়ার্স ও এনক্রুমাহ বোনার টেস্ট ইতিহাসের দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি গড়লেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে যা সর্বোচ্চ। চতুর্থ ইনিংসে দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটারের সেরা জুটি এটিই।

ব্যাক্তিগত ৩৭ রানে পঞ্চম দিন শুরু করা মায়ার্স শেষ পর্যন্ত ২১০ রানে অপরাজিত থেকেই সফরকারীদের জয় নিশ্চিত করেন। তিনি ৩১০ বলে ২০টি চার ও ৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।

রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় সেশন পর্যন্ত দাপুটে ব্যাট করে উইন্ডিজ। তবে এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় বাংলাদেশ। পরপর ২ উইকেট তুলে নিয়ে টাইগারর শিবিরে স্বস্তি ফেরান তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।

এনক্রুমাহ বোনারকে ফেরানোর পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া বাংলাদেশ বেশিক্ষণ টিকতে দেননি জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে। ব্যক্তিগত ৯ রানের মাথায় নাঈম হাসানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান।

এর আগে বোনার ও কাইল মায়ার্সের ভয়ঙ্কর জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। সেই সঙ্গে প্রথম শ্রেণি ও আন্তর্জাতিক টেস্ট মিলিয়ে ৩০০তম উইকেটের মালিক হন তিনি।

তৃতীয় সেশনের শুরুতে বোনারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান তাইজুল। চতুর্থ উইকেটে ৪৪২ বলে ২১৬ রানের জুটি গড়েন বোনার-মায়ার্স। দিনের প্রথম উইকেট হিসেবে বোনার ফেরার আগে মাটি কামড়ানো ব্যাটিংয়ে ২৪৫ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে করেন ৮৬ রান।

তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে জসুয়া ডি সিলভাকে নিয়ে ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে দেন মায়ার্স। জসুয়া ব্যক্তিগত ২০ রানে তাইজুলের শিকার হন। পরে মেহেদি হাসান মিরাজ কেমার রোচকে শূন্য রানে ফেরালেও জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি ক্যারিবীয়দের।

মিরাজ বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন। দুটি উইকেট পান তাইজুল। নাঈম নেন একটি উইকেট।

মায়ার্সের এমন কীর্তিতে ঢাকা পড়ে গেল মিরাজের প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরি ও ম্যাচে মোট ৮ উইকেট দখল। পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিটিও বৃথা গেল।

এর আগে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রান করেছিল। জবাবে ২৫৯ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। পরে টাইগাররা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।