ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

আশা জাগিয়ে ফিরলেন আফিফ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
আশা জাগিয়ে ফিরলেন আফিফ

প্রথম ২ ওভারেই দুই ওপেনারকে হারানোর পর নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে হাল ধরেছিলেন আফিফ হোসেন। ধীরে ধীরে হাত খুলে খেলতেও শুরু করেছিলেন।

কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতোই এবারও আশা জাগিয়ে ফিরলেন তিনি। পাকিস্তানি স্পিনার শাদাব খানের বলে সুইপ শট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯.২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৬১ রান।

এর আগে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আজ শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচের একাদশ অপরিবর্তিত রেখেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে পাকিস্তানের একাদশে এসেছে একটি পরিবর্তন। আগের ম্যাচের ম্যাচসেরা হাসান আলীকে বসিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রথম ম্যাচে বিশ্রামে থাকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে।

ব্যাটিংয়ে নেমে ধীরগতির শুরু পায় বাংলাদেশ। শাহিন প্রথম ওভার থেকেই আগুন ঝরা বোলিং শুরু করেন। চতুর্থ বলে মিসফিল্ডিংয়ের সুযোগ কোনোমতে এক রান নেন শেখ নাঈম। স্ট্রাইকে যান গত ম্যাচে অভিষিক্ত সাইফ। কিন্তু আজও তিনি ব্যর্থ। শাহিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তিনি গোল্ডেন ডাক মারেন। আম্পায়ার প্রথমে নট আউট ঘোষণা করলেও রিভিউ নিয়ে সফল হয় পাকিস্তান। ১ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে ওয়াসিমের বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম (২)।

দ্রুত দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছিলেন শান্ত ও আফিফ। দুজনে মিলে ৩৭ বলে ৪৬ রানের জুটিও গড়েন। কিন্তু এর মাঝেই শাহিন শাহ আফ্রিদির ফিরতি ওভারের দ্বিতীয় বলে বিশাল এক ছক্কা হাঁকান আফিফ। বিষয়টি হজম করতে না পেরে পরের বল আফিফ ঠেকিয়ে দেওয়ার পর হাতে পেয়ে সজোরের ব্যাটারের দিক ছুটে মারেন পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার।  

ওই সময় আফিফ স্ট্রাইকিং প্রান্তে ক্রিজের মাঝেই ছিলেন। ফলে আফ্রিদির থ্রো স্টাম্পে লাগলেও তিনি আউট হতেন না। বলের প্রচণ্ড আঘাতে আফিফ ব্যথায় মাটিতে শুয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। মাঠে কিছুক্ষণ প্রাথমিক চিকিৎসার পর আফিফ সুস্থ হলে ফের খেলা শুরু হয়। পরের বলটিই তিনি স্কয়ার লেগ দিয়ে পাঠিয়ে দেন সীমানার বাইরে। একেবারে যোগ্য জবাব যাকে বলে! তবে আফিফের ইনিংস থামে ২০ রানেই, শাদাব খানের বলে উইকেটরক্ষক রিজওয়ান ক্যাচ নেন।  

বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মেহেদী হাসান এবং মোস্তাফিজুর রহমান।

পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফখর জামান, হায়দার আলী, শোয়েব মালিক, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রৌফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।