ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আশা জাগিয়ে ফিরলেন সাইফ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
আশা জাগিয়ে ফিরলেন সাইফ ছবি: উজ্জ্বল ধর

টানা উইকেট পতনের মাঝেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন সাইফ হাসান। কিন্তু আশা জাগিয়েও বেশিদূর যেতে পারলেন বাংলাদেশের ওপেনার।

ডানহাতি এই ব্যাটার শাহিন আফ্রিদির বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হওয়ার আগে করেছেন ১৮ রান।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসের ১৪ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩২ রান, লিড ৭৬ রানের।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান করা পাকিস্তান তৃতীয় দিনে তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়। আবিদ আলীর সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৮৬ রানে সবগুলো উইকেট হারায় সফরকারীরা।

৪৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ধীরেসুস্থে শুরু করলেও সাদমান বিদায় নিয়েছেন পঞ্চম ওভারেই। লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবশ্য রিভিও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। ১২ বল স্থায়ী ইনিংসে এই ওপেনার রান করেছেন মাত্র ১।  এক বল পরেই তিনে নামা শান্ত বাইরের বল ছোঁয়াতে গিয়ে স্লিপে থাকা আব্দুল্লাহ শফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ডাক মেরেছেন। পরের ওভারে হাসান আলীর শেষ বলে ঘুরিয়ে খেলতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে মিডউইকেটে থাকা আজহার আলীর হাতে ক্যাচ চলে যায়।  

প্রথম ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করে ৯ রানের আক্ষেপ নিয়ে সেঞ্চুরি করা হয়নি মুশফিকের। হতাশা নিয়ে প্রথম ইনিংসে মাঠ ছাড়লেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে একটি রেকর্ড গড়েছেন মুশি। ওপেনার তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে টাইগারদের হয়ে টেস্টের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক এখন তিনি। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুহূর্তে ব্যাট করতে নেমে এ কীর্তি গড়েন মুশফিক। ৬৪ ম্যাচে ১২৩ ইনিংসে ৪৭৮৮ রান নিয়ে এতদিন শীর্ষে ছিলেন তামিম। ৭৬ ম্যাচের ১৪০তম ইনিংসে তাকে ছাড়িয়ে গেলেন মুশি। তিনে থাকা সাকিব আল হাসান ৫৮ ম্যাচে ১০৭ ইনিংসে সংগ্রহ করেছেন ৩৯৩৩ রান।

পানি পানের বিরতির ঠিক পরেই বিদায় নেন সাইফ। শাহিন আফ্রিদির শর্ট বলে মুখ বাঁচাতে হাত বাড়িয়ে দেন সাইফ, কিন্তু বল তার ব্যাটের উপরের অংশে লেগে উপরে উঠে যায়, নিজেই ক্যাচ ধরেন শাহিন। সাইফ বিদায়ের আগে করেন ১৮ রান।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান করা পাকিস্তান তৃতীয় দিনে তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়। আবিদ আলীর সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৮৬ রানে সবগুলো উইকেট হারায় সফরকারীরা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের শুরুতেই এক রান যোগ করতে দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান। ওভারের পঞ্চম বলে তাইজুলের বলে এলবির শিকার হন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। তিনি ১৬৬ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫২ রান করেন। পরের বলেই নতুন ব্যাটার অভিজ্ঞ আজহার আলীকে মাঠ ছাড়া করেন তাইজুল। এই ডানহাতিকে শূন্য রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন টাইগার স্পিনার।

এরপর ব্যাট করতে নামা বাবর আজমকে সরাসরি বোল্ড করে মাঠ ছাড়া করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টায় থাকা পাকিস্তান অধিনায়ক ৪৬ বলে ১০ রান করতে পারেন। অন্যপ্রান্তে অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন থিতু হয়ে থাকা আবিদ আলী। বাবর ফেরার পর ব্যাট করতে নামা ফাওয়াদ আলমকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান তাইজুল। প্রতিপক্ষের ১৮২ রানের মাথায় এই বাঁহাতিকে উইকেটরক্ষক লিটনের ক্যাচে পরিণত করেন এই স্পিনার। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দারুণ এক ডেলিভারিতে ফেরান এবাদত হোসেন। ডানহাতি এই পেসারের ইনসুইং বুঝতে না পেরে এলবি হন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার (৫)।

শতক হাঁকানো আবিদ আলীকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নিলেন তাইজুল ইসলাম। পাকিস্তানি ওপেনার ২৮২ বলে ১২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৩৩ রান করে বিদায় নেন। এরপর হাসান আলীকে ১২ রানে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারে নবমবারের মতো পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন তাইজুল। তার পাঁচের পর পাকিস্তানি ব্যাটার সাজিদ খানকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান এবাদত। এরপর নুমান আলীকে ফিরিয়ে ষষ্ঠ উইকেট তুলে নেন তাইজুল। ব্যক্তিগত ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পাকিস্তানি ব্যাটার। থিতু হয়ে ব্যাট করতে থাকা ফাহিম আশরাফকে ফিরিয়ে নিজের সপ্তম উইকেট তুলে নেন তাইজুল। ৮০ বলে ৩৮ রান করে এই ব্যাটারের ফেরার পর সব উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। ৩২ বলে ১৩ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন শাহিন আফ্রিদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
এমএইচএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।