মিরপুরে ব্যস্ততা গত কয়েকদিন ধরে মেয়েদের ক্রিকেট ঘিরে। একাডেমি মাঠের বেশির ভাগজুড়েই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্পে থাকা মেয়েরা নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলেন।
নিগার সুলতানা জ্যোতিদের জন্য নতুন কোচের খবর এসেছিল গত মাসেই। তাদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার হাসান তিলকারাত্নে যোগ দিয়েছেন এক তারিখ থেকে। একাডেমি মাঠে আজ অনুশীলনের শুরুতেই হোয়াইট বোর্ডে কিছু একটা বুঝিয়ে দেন হাসান।
এরপর দেখা গেল- রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেট নিয়ে কাজ করতে। নেটের দু প্রান্তে দাঁড়ানো দুই ব্যাটার নিয়ম করে দৌড়াচ্ছেন প্রতি বল করার পরই। সাধারণত নেটে এমন দৃশ্যের দেখা খুব একটা দেখা যায় না। গত এশিয়া কাপেও শ্রীলঙ্কা নারী দলের কোচ হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তখনই হয়তো ধরতে পেরেছেন রোগটি। কেন নিজের দেশ ফেলে বেছে নিলেন বাংলাদেশের চাকরি?
তিনি বলছিলেন, ‘কোচ হিসেবে আমি সব সময় অনুপ্রাণিত অনুভব করি। আগেই বললাম আমি কোচিং ভালোবাসি। এটা চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু আমি উপভোগ করি। ’
‘আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ। এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তবে আমি কোচিং পেশাটা উপভোগ করি। বিশেষ করে মেয়েদের ক্রিকেট একটু অন্য রকম। এখানে আপনাকে ধৈর্য ধরতে হয়। আমি তাদেরকে কয়েকবার দেখেছি। আশা করি, তাদের সঙ্গে সময়টা ভালো যাবে। ’
ক্রিকেটার হিসেবে অনেক নামডাক কামিয়েছেন। পরে কাজ করেছেন নানা ভূমিকায়। ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের ক্রিকেটের পার্থক্য তাই ভালোই জানা হাসানের। তার কাজের ধরন আসলে কেমন হবে? এ নিয়েও জানিয়েছেন সাবেক লঙ্কান তারকা।
তিনি বলেছেন, ‘আপনাকে প্রথমে অবশ্যই তাদের মানসিকতা এবং স্কিল বুঝতে হবে। এই দুটো জিনিস বুঝতে হলে তাদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। সাধারণত কোচ ছাড়াও আমি কয়েকটা রোল প্লে করি। আমি তাদের বাবা, ভাই এবং বন্ধু। তাদের সঙ্গে আপনাকে কথা বলতে হবে, আত্মবিশ্বাস দিতে হবে। ’
‘আমরা সব সময় ছেলেদের ক্রিকেটের সঙ্গে তাদের মিলিয়ে ফেলি। এটা আমি মনে করি ঠিক না। আমরা সবাই জানি, এখানে সময়ের দরকার, ধৈয্য দরকার। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২২
এমএইচবি/আরইউ