চট্টগ্রাম: ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার এক তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় মো. রফিক নামে এক মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরার আদালত এ রায় দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর স্পেশাল পিপি এমএ নাসের চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি মো. রফিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড,৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নে পূর্ব সোনাই এলাকার ওই তরুণীর বাড়ি থেকে সামান্য দূরে মো. রফিক মুদির দোকান করতেন। সেখান থেকে তরুণী বিভিন্ন সময়ে জিনিসপত্র কেনার জন্য আসা-যাওয়া করতেন। ২০১৭ সালে ২৬ মার্চ থেকে অনুমানিক ১০ থেকে ১৫ দিন আগে সকালে দোকানে জিনিসপত্র কিনতে গেলে দোকানে কোন লোকজন না থাকায় তরুণীকে মুখ চেপে ধরে দোকানের ভেতরে নিয়ে যায়। দোকানের দরজা বন্ধ করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে আসামি। তরুণীকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বলে এবং গোপন রাখলে তরুণীকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়।
পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে দোকানে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। একসময় গিয়ে তরুণী মানসিকভাবে বিমর্ষ ও মন খারাপ করার কারণ জিজ্ঞেস করে মা। তরুণীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দিলে একপর্যায়ে বাড়ির পাশের মুদির দোকানি মো. রফিক ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। তখন তরুণী ৫ থেকে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এই ঘটনায় তরুণীর জেঠাত ভাই বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১১ আগস্ট ভুজপুর থানায় মামলা করেন। এই মামলায় আদালত ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩
এমআই/টিসি