চট্টগ্রাম: পাহাড়তলী বধ্যভূমির বেদখল জায়গা উদ্ধারের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসালাম বলেছেন, চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো মূল্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিরার ঘোষণাতেই চূড়ান্ত বার্তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘ নয় বছর এটি বাস্তায়ন না হওয়ার পেছনের ইতিহাস জানা দরকার।
এ সময় সবাইকে নিয়ে অচিরেই আন্দোলনের রূপরেখা তৈরির ঘোষণাও দেন চেয়ারম্যান পেয়ারুল ইসালাম।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি মফিজুর রহমানও এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, যাঁদের জীবনের বিনিময়ে দেশ নির্মিত হয়েছে, তাঁদের রক্তের ওপর কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কর্মযজ্ঞ পরিচালনার ন্যূনতম অধিকার নেই।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি বলেন, যুথবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে কীভাবে দাবি আদায় করতে হয় আমাদের জানা আছে।
মুক্তিযুদ্ধের সরকার ক্ষমতায় থেকেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কেনো বাস্তবায়ন হচ্ছে না! কে বা কারা এসবের সঙ্গে জড়িত এবং তারা কত শক্তিশালী? তা জাতি জানতে ও দেখতে চায়।
অবিলম্বে পাহাড়তলী বধ্যভূমির ১ দশমিক ৭৫ একর জায়গা উদ্ধার এবং পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স বাস্তবায়নের দাবিতে শনিবার (২৫ মার্চ ), বধ্যভূমি চত্বরে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, চট্টগ্রাম ও পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স বাস্তবায়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী গণসম্মিলনে নেতারা এসব কথা বলেন।
সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও বিশেষ অতিথি মফিজুর রহমান এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন শওকত বাঙালি।
পরিষদ সদস্য মো. সেলিম বাদশার পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান ও মো. রেজাউল হোসেন সুজা, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা.বিদ্যূৎ বড়ুয়া, ‘পাবকপ্রবাপ’ -এর আহ্বায়ক নাট্যশিক্ষক মোস্তফা কামাল যাত্রা ও সদস্য সচিব শহীদ পরিবারের সদস্য মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন আঙ্গুর, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আলা উদ্দিন, সদস্য সচিব মো. অলিদ চৌধুরী, কবি আবু মুসা চৌধুরী, যুবলীগ নেতা মো. হেলাল উদ্দিন, শ্রমিক নেতা হাবিব উল্ল্যা চৌধুরী ভাস্কর, নির্মূল কমিটি জেলা নেতা হাজী মো. ইব্রাহিম, মনজুর হোসাইন, এম এ মান্নান শিমুল, রুবেল আহম্মদ বাবু, সুচিত্রা গুহ টুম্পা, রাজীব চৌধুরী, সাংবাদিক আহমেদ কুতুব, অ্যাডভোকেট মো. সাহাব উদ্দিন, মো. আবু সুফিয়ান, মোহাম্মদ আবদুল লতিফ সেকু, মো. হায়দার আলী, মিন্টু সরকার, তানবীর হাসান, মো. জুনায়েত হোসেন, সায়েম উদ্দীন, মোস্তফা আনোয়ার, পার্থ সারথী দে, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. সেলিম উদ্দীন, জুলফিকার আলী মাসুদ, মো. হাছান আজাদ, নুর ই সালাম, এস এম খালেদ বাবলু, মো. নুরুল আলম রাহাত, মো. শহিদুল ইসলাম পিন্টু, মো. ফাহিম, মো. আজিম, মো. সুলতান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, দেশের বৃহত্তম বধ্যভূমি হিসেবে খ্যাত পাহাড়তলী বধ্যভূমির জন্য আদালত কর্তৃক নির্ধারিত ১ দশমিক ৭৫ একর জমিতে নয় বছর আগে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স প্রকল্প অধ্যাবদী বাস্তবায়ন না হওয়ায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করে ‘বয়ন শিল্পঙ্গণ’ ও ‘সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’।
উল্লেখ্য, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্ধারিত আয়োজন আলোর মিছিলের পরিবর্তে গণসম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৩
এসআরএস/টিসি