চট্টগ্রাম: বাস দুর্ঘটনায় এক পা হারানো পাঁচ বছর বয়সী শিশু অগ্ররাজ সিকদারের চিকিৎসা খরচ চালাতে পারছেন না অসহায় মা। হয়নি ঘাতক বাস চালকের বিচার।
বুধবার (১২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাঁশখালীর শেখেরখীল তারাকিংকর সিকদার পাড়ার বাসিন্দা জয়ন্তী দে তাঁর সন্তানের ওপর ঘটে যাওয়া এ দুর্ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, স্বামী রূপন সিকদার পেশায় কাঠমিস্ত্রি।
এ সময় বাসের হেলপারের সহায়তায় চালক মহেশখালীর কালারমার ছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকার আবদু শুক্কুর পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন অগ্ররাজকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেন। তার মাথায় ও দুইপায়ে আঘাত পায়। প্রথমে চাম্বল বাঁশখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং সর্বশেষ চট্টগ্রামের রয়েল হাসপাতালে ভর্তি করে তার দুই পায়ে অপারেশন করা হয়। সেখানে বাম পা সম্পূর্ণ কেটে ফেলে দিতে হয়। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ডান পায়ে ভাঙা হাড় জোড়া লাগানো হয়। কপালের জখমে একাধিক সেলাইও দেওয়া হয়। আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এসব চিকিৎসা ও অপারেশন বাবদ ৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে নগরের অক্সিজেন এলাকায় ভাড়া বাসায় রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চিকিৎসা চলছে। তার আরও উন্নত চিকিৎসা দরকার বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অর্থাভাবে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি অভিযোগ করেন, বাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জানালেও তারা চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে। গত ২৩ মার্চ বাঁশখালী থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করলেও চালক-হেলপারকে গ্রেফতার করতে পারেনি। দায়ীদের বিচার ও বাস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে সহযোগিতা চেয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন জানানো হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কারও কাছ থেকে এখনো সাড়া পাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
এসি/টিসি