চট্টগ্রাম: ঘড়ির কাঁটায় রাত ২টা। তখনও খালি নেই চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘীর মাঠ।
মাঠটির দুইপাশে মোট চারটি টিমের খেলা চলছিল তখন। খেলোয়াড়ের সংখ্যাও ৫০ জনের কম নয়। তাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন দোকানের কর্মচারী। আছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীও।
দিনের বেলায় যারা খেলার সুযোগ পান না তারাই রাতে এখানে আসেন খেলতে। রমজান উপলক্ষে সেহেরির আগ পর্যন্ত চলে খেলা। নগরের বিভিন্ন স্থানে টাকার বিনিময়ে খেলার সুযোগ রয়েছে। তবে লালদিঘীর এই মাঠে খেলতে কোনো টাকা লাগে না। এজন্য রাতের বেলায়ও মাঠটি খালি থাকে না।
মাঠে আসা কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। রাজিব নামের একজন বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিদিন ফুটবল খেলতে আসি। দিনে খেলতে আসার সুযোগ হয় না। রাতে খেলার পর ভোরে বাসায় গিয়ে সেহেরি খেয়ে ঘুমিয়ে যাই।
লালদিঘীর মাঠে ফুটবল খেলতে আসা সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিদিন রাত একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত ফুটবল খেলতে চলে আসি। খেলতে আসা অধিকাংশ চাকরিজীবী। আমাদের টার্ফে খেলার মতো টাকা নেই। সেখানে খেলতে গেলে প্রতি ঘণ্টায় হাজার দুয়েক টাকা লাগে।
মাঠের দায়িত্ব থাকা সরকারি মুসলিম হাই উচ্চ বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী রঞ্জিত বাবু বাংলানিউজকে বলেন, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা মাঠে খেলা চলে। প্রতিদিন রাতে ফুটবল খেলা হয়। মাঠের একাধিক অংশ ভাগ করে সবাই ফুটবল খেলে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৩
এমআই/টিসি