চট্টগ্রাম: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শেষ বিদায়টা তাঁর জন্মভূমি রাউজানের গ্রামের বাড়িতে হোক- এমনটাই দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়ায় তাঁর বাড়ি।
মরহুমের চাচাতো ভাই ইলিয়াস চৌধুরী বাচ্চু জানান, ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এখানে মরদেহ আনা হলে আমরাও শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ পাবো।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর কোয়েপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিণী। মা–বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়। শৈশবে কোয়েপাড়া বোর্ড প্রাইমারি স্কুলে ডা. জাফরুল্লাহ’র শিক্ষাজীবন শুরু হলেও পিতার চাকরির সুবাদে ঢাকায় চলে যান।
বকশীবাজারের নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে স্কুলজীবন শেষ করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। সেই সময় তিনি বাম রাজনীতিতে যুক্ত হন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে এমবিবিএস পাস করে যুক্তরাজ্যে গিয়ে তিনি ভাস্কুলার সার্জারিতে প্রশিক্ষণ নেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলায় বিশেষ ভূমিকা ছিল জাফরুল্লাহ চৌধুরীর।
কোয়েপাড়া গ্রামে তাঁর শৈশবের বন্ধু সাবেক অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন হায়দার চৌধুরী বলেন, জনদরদী নিরহংকার ও সৎ ব্যক্তিত্ব ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। দেশের মানুষের জন্য তার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সাবেক শিক্ষিকা আকতার জামান বলেন, ‘এলাকার মানুষের জন্য অসম্ভব দরদী ছিলেন তিনি। বটবৃক্ষের মত ছিলেন। তার চিরবিদায়ের ক্ষতি পুষিয়ে নেবার নয়। ’
ডা. জাফরুল্লাহ’র ভাই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শহিদুল্লাহ্ চৌধুরীর বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ভূপেশ বড়ুয়া জানান, মরদেহ শুক্রবার গ্রামের বাড়িতে আনার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৩
এসি/টিসি