চট্টগ্রাম: পবিত্র রবিউল আউয়ালকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর গাউসিয়া কমিটির ব্যবস্থাপনায় র্যালি বের হয়েছে নগরে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে আসর নামাজ আদায়ের পর হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এ র্যালিতে অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি রহমাতুল্লিল আলামিন হিসেবে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ ধরাতে শুভাগমনের মহান নিদর্শন পবিত্র রবিউল আউয়াল। সৃষ্টির মূল রহস্য রাসুলের (দ.) এ পৃথিবীতে শুভাগমন বিশ্বমানবতার জন্য এক মহা নেয়ামত। আর এ নেয়ামত প্রাপ্তিতে পবিত্র কোরআনে শোকরিয়া আদায়ের মাধ্যমে সাফল্য অর্জনের নির্দেশনা রয়েছে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য আল্লামা হাফেজ কারি সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.) ১৯৭৪ সালে পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবীর (দ.) গোড়াপত্তন করেছিলেন, তা আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
বক্তারা আনজুমান ট্রাস্টের উদ্যোগে ৯ রবিউল আউয়াল রাজধানী ঢাকায় এবং ১২ রবিউল আউয়াল বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ৫১তম জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দ.) সফল করার জন্য সর্বস্তরের মুসলমানদের প্রতি আহবান জানান।
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি তছকির আহমদের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় সমাবেশে উদ্বোধক ছিলেন আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন। প্রধান অতিথি ছিলেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আনজুমান ট্রাস্টের অ্যাডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি ও জুলুছ সাব কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, আর্গানাইজিং সেক্রেটারি মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম, ফিন্যান্স সেক্রেটারি এনামুল হক বাচ্চু, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুল হক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে এলাহী সিকদার, কমরুদ্দীন সবুর, আবদুল হাই মাসুম, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার অধ্যক্ষ আল্লামা আবদুল আলিম রিজভী, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আল্লামা শাহ নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী, খায়র মোহাম্মদ, মোহাম্মদ হাসান, আবদুল হামিদ সর্দার, মোহাম্মদ আবুল বশর, সাবের আহমদ, মোহাম্মদ সেকান্দর মিয়া, আইয়ুব দোভাষ, দ্বীন মোহাম্মদ, মোহাম্মদ মনজুরুল আলম মঞ্জু, মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস আলকাদেরী, মুহাম্মদ মুনির উদ্দিন সোহেল, মুহাম্মদ সালামত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান সর্দার, মোহাম্মদ ইলিয়াস মুন্সী, মোহাম্মদ হাশেম, খন্দকার ইরশাদুল আলম হীরা, মোহাম্মদ আলম আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ সাহাব উদ্দীন, মাওলানা সালামত আলী, মাওলানা হারুনুর রশিদ, মুহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন, মুহাম্মদ ফয়েজুর রহমান, মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ জানে আলম জানু, মুহাম্মদ জোবায়েদ উদ্দিন টুটুল, রেজাউল হোসেন জসিম, মোহাম্মদ হামিদ প্রমুখ।
শেষে জশনে জুলুসের কামিয়াবি এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
ঈদে মিলাদুন্নবী ২৮ সেপ্টেম্বর
শুক্রবার বাংলাদেশে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। সে হিসাবে ২৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।
সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
এআর/টিসি