চট্টগ্রাম: ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ঘোষণায় আমদানি করা চার কনটেইনারের একটি চালানে ২ হাজার ৮০০ বস্তায় ২৮ টন গুঁড়োদুধ এবং ৪০ টন ডেক্সট্রোজ পাওয়া গেছে। এ চালানে কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের দিয়ে ঢাকার পুরানা পল্টনের জিওয়াই ট্রেড প্রা. লিমিটেড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে চালানটি এসেছে চীন থেকে। ৩ হাজার ২১৯ বস্তা ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (আনকোটেড) ঘোষণায় আনা চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল চট্টগ্রামের আসাদগঞ্জের ৯৫২ ওসমান মঞ্জিলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এক্সটেনডেড ইউনাইটেড এজেন্সিস লিমিটেড।
কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার (এআইআর) মো. সাইফুল হক বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চালানটি খালাসের লক্ষ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনলাইন সিস্টেমে (অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড) বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়েছিল। কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করে পণ্যচালানটিতে অসত্য ঘোষণায় পণ্য আমদানির প্রাথমিক ধারণা পায়। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর চালানটি যাতে খালাস নিতে না পারে সে লক্ষ্যে সিস্টেমে লক করে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কনটেইনার চারটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এ সময় ঘোষিত পণ্যের মতো একই প্রকৃতি ও একই প্রিন্টের বস্তায় প্রায় ২ হাজার ৮০০ বস্তা ভিন্ন বস্তু পাওয়া যায়। যদিও সব বস্তায় ইংরেজিতে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (আনকোটেড) লেখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ বস্তায় প্রায় ২৮ টন গুঁড়োদুধ এবং ৪০ টন ডেক্সট্রোজ রয়েছে।
তিনি জানান, পণ্যগুলো মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা হয়েছে। এতে সরকারের ১ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অপচেষ্টা হয়েছে। পণ্যের সঠিকতা ও খাবার উপযোগিতা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা রাসায়নিক পরীক্ষায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এ ঘটনায় কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমানের নির্দেশে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি